img

বিয়ানীবাজারে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত :  ১০:২০, ১৫ মার্চ ২০২৩

বিয়ানীবাজারে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে বোরো, নানা ধরণের সবজি, লিচু ও আম মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে উপজেলাজুড়ে শিলাবৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, শীতের পর বিয়ানীবাজার ভোরে প্রথম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সাথে শিলা পড়ে বসতঘর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার কুড়ারবাজার,মাথিউরা ও চারখাই এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। বোরো ফসলের ক্ষতি ছাড়াও লিচু ও আমের মুকুল ঝরে গেছে। ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিরও।

কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আকাখাজানা গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ভোরে পয়লা বৃষ্টি পড়তে থাকলেও শিল ছিল না। কিছুক্ষণ পরেই শিল পড়া  শুরু হয়। ১০থেকে ১৫ মিনিট টানা পড়ছে। চাল ভেঙ্গে ঘরের ভিতর শিলা বৃষ্টি পড়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা  আহত হযেছেন।’ একই গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আমার সবজি ক্ষেতের গাছ মাটিতে মিশে গেছে। আমার প্রায় লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।’

মাথিউরা ইউনিয়নের দুধবকসী এলাকার কৃষক আমীন উদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টিটা বোরো ফসলের জন্য ভালই হতো। কিন্তু পাথর (শিলা) বৃষ্টি হওয়ার ধান গাছের গজানো শীষ নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ বোরো ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।’

মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ২৫ শতাংশ বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তকৃষকদের বোরো জমি তিনি পরিদর্শন করেছেন।’

বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হাকিম নিলয় জানান, ‘বুধবার ভোর রাতের শিলাবৃষ্টিতে উপজেলাজুড়ে ২ হেক্টর ভোট্টা এবং ১ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও বোরো ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’


img

তাহিরপুরে নদী থেকে বালু চাপা দেয়া শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১৭:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর বালুর চড় থেকে বালু চাপা দেয়া অবস্থায় সাকিবুল ইসলাম (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাও গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় তার লাশ উদ্ধার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওসি নাজিম উদ্দীন।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শিশুর টির মা স্কুলে না যাওয়ার কারনে বকা দিলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর পর সে আর বাড়ি ফিরে নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যাদুকাটা নদীর পাড়ে শিশুটির একটি হাত দেখতে পায় এলাকার লোকজন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সবার উপস্থিত তে লাশ উদ্ধার করে।

তবে কে বা কারা আর কি কারনে তাকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে তা কারন জানাযায় নি।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।  ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে।