img

বান্দরবানে তিন উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৪:৩৩, ১৫ মার্চ ২০২৩

বান্দরবানে তিন উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবোচনায় রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি এই তিন উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে অনির্দিষ্টকালের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। বুধবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।

প্রশাসন জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে রুমা উপজেলার সঙ্গে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায়ও পর্যটকদের ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা উপজেলায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। তার সঙ্গে নতুন করে রোয়াংছড়ি ও থানচি দুটি উপজেলা ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে তিনটি উপজেলা ব্যতীত অন্যসব উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ করতে কোনো বাধা নেই।

এদিকে গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞায় বান্দরবান জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রুমা উপজেলার কিংবদন্তি বগালেক, রিজুক ঝর্না, তাজিংডং, ক্যাওক্রাডং, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড় এবং থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী, রেমাক্রী, নাফাখুম, অমিয়খুম, বাকলাই ঝর্না, আন্ধারমানিকসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।

img

মা-মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ১৩ মে ২০২৪

একসঙ্গে এসএসসি পাস করেছে মা ও মেয়ে। এই মা–মেয়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেয়ে নাসরিন আক্তার চাতলপাড় ওয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ–২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। অন্যদিকে নুরুন্নাহার বেগম একই বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) শাখা থেকে জিপিএ–৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন।

নুরুন্নাহার (৪৪) চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের দুবারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী মো. দুলাল মিয়া ইটভাটার ব্যবসা করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে।

জানা গেছে, ২৩ বছর আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন নুরুন্নাহার বেগমের বিয়ে হয়। তিনি বলেন, “বিয়ের পর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দুই ছেলে-মেয়ে আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন রক্ষণশীল হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। এসএসসি পরীক্ষা না দিতে পেরে মনের ভেতর জিদ ছিল—যেদিন সুযোগ পাব, তখনই এসএসসি পরীক্ষা দিব।”

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া বলেন, “একজন ইউপি সদস্য হয়েও নুরুন্নাহার মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এ সাফল্যে আমরা গর্বিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আদর্শ হয়ে থাকবেন। কারণ, অনেকেই এ কাজ করতে পারবেন না।”