img

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে নিহত ২

প্রকাশিত :  ১৬:১৭, ১৭ মার্চ ২০২৩

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে নিহত ২

রাঙামাটির মানিকছড়িতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে দুইজন পর্যটক মারাগেছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি তবে একজন মাইকম্যান ও অপরজন বাসের হেলপার বলে জানিয়েছে আহতরা।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে এবং একজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটক বহনকারী চট্টগ্রামের সিডিএম পরিবহনের একটি বাস(ঢাকা মেট্রো ব ১৪-২৮৯৬) রাঙামাটি ছেড়ে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি এলাকায় উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই দুই পর্যটক মারা যান। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (১১ ইবি), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাঙামাটি জেলা পুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।

দুর্ঘটনায় কবলিত বাসটি চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী থেকে অন্তত ৩০ জন পর্যটক নিয়ে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসেন। পর্যটকরা সকলে ভাটিয়ারীর (ফক্রিজ)চিটাগাং ব্রিকস নামক একটি কারখানার শ্রমিক বলে জানাগেছে। দূর্ঘটনার পরপরই বাসটির চালক পালিয়ে গেছে ।

img

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশিত :  ১২:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গরম যেন কমছেই না সীমান্তবর্তী এ জেলায়। বৈশাখের শুরু থেকেই কখনও মৃদু থেকে মাঝারি আবার কখনও তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। 

শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।

এদিকে রোদের প্রখরতা এত বেশি যে গলতে শুরু করেছে রাস্তার বিটুমিন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভাবনা নেই।’