img

জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল : ইমরান খান

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ২০ মার্চ ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৯, ২০ মার্চ ২০২৩

জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল : ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান দাবি করেছেন যে ইসলামাবাদের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

রোববার বিকেলে জামান পার্কের বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, শনিবার ইসলামাবাদে জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে তোশাখানা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামেননি। কারণ সেখানে ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা’ অবস্থান করছিল তাকে হত্যা করার জন্য।

পিটিআই প্রধান বলেন, ‘আমি যদি সেখান থেকে সরে না যেতাম, তাহলে পুলিশ, রেঞ্জার্স ও অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আমার দলের নেতাকর্মীদের উস্কানি দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ত এবং সুযোগ বুঝে আমাকে হত্যা করত।’

ইমরান খান এই পরিকল্পনার নির্দেশদাতা হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম নওয়াজকে দায়ী করেন।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা সংযত না হলে গদি হাতছাড়া হয়ে যাবে।’ সূত্র : ডন


img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।