img

সেহরিতে কী খাবেন কী খাবেন না

প্রকাশিত :  ১২:২৮, ২৩ মার্চ ২০২৩

সেহরিতে কী খাবেন কী খাবেন না

শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরি-ইফতারে খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে এ সময় খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

পুষ্টিবিদদের মতে, সেহরিতে এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন তা দিনভর শরীরে শক্তি বজায় রাখবে। পাশপাশি ক্ষুধাও কম অনুভূত হবে। যেমন-

খেজুর: রোজায় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে খেজুর খেলে দিনভর কর্মক্ষম থাকার শক্তি পাওয়া যায়।

তরমুজ : তরমুজে র্পাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় সারাদিন শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আপেল : আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকায় এই ফলও শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে।

রুটি : রুটিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেহরিতে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা অনুভূত হবে।

কলা: সেহরিতে কলাও খেতে পারেন। এই ফলও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

আলু: আলু পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটের বড় উৎস। সেহরিতে যেকোনভাবে আলু খেলে সারাদিনে শরীরে শক্তি বজায় থাকবে।

দই: দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া রোজায় সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।

ছোলা: সেহরিতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়।

ভাত -ডাল: সেহরিতে চাইলে ভাত, ডাল, মুরগির মাংস ও সবজি রাখতে পারেন। পাশাপাশি প্রোটিন এবং সামান্য ফ্যাটও খেতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান: যেহেতু এখন গরমের সময় এ কারণে সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল খাবার খান। এতে শরীরে পানিশূন্যতা রোধ হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।