img

চিপ্‌স, কবাব, তন্দুরি বাড়ায় পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি!

প্রকাশিত :  ১০:০৩, ২৫ মার্চ ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৭, ২৫ মার্চ ২০২৩

চিপ্‌স, কবাব, তন্দুরি বাড়ায় পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি!

অল্প খেলেই পেট ভরে যাওয়া, পেটে ব্যথা, হজমের অসুবিধা, গ্যাস লেগেই আছে। সঙ্গে বমিভাব ও খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ অনেককেই কষ্ট দেয়। এর সঙ্গে যদি ওজন কমে যাওয়া, দুর্বল লাগার মতো লক্ষণ থাকে, তবে কিছুটা চিন্তা বাড়ে। কারণ এ সব অনেক সময়ে পাকস্থলীর ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। বিশেষ করে কাল মলত্যাগ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

যাঁদের হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে পেটে আলসার আছে এবং সঠিক চিকিৎসা হয় না, তাঁদের মধ্যে পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি বলে জানান চিকিৎসকেরা। 

যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এইচ পাইলোরি সংক্রমণে ভুগছেন এবং আলসার অ্যাট্রোফিক গ্যাস্ট্রাইট্রিস পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পেটের ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুখের ঝুঁকি বাড়ে।  প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার নির্ণয়ের কথা বলা হলেও শুরুতে পেটের ক্যানসারের কোনও সুনির্দিষ্ট উপসর্গ না থাকায় চট করে অসুখটি ধরা যায় না। বেশির ভাগ মানুষই সাধারণ হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি ভেবে খুব একটা গা করেন না। ইদানীং বাড়তি লবণ খাওয়া ও তন্দুরে সেঁকা খাবার খাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় পাকস্থলীর ক্যানসারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।

অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার এবং স্মোকড অর্থাৎ, সরাসরি আগুনে সেঁকা খাবার নিয়মিত খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে

রোজকার ডায়েটে ফল ও সব্জি না থাকলে বা খুব কম থাকলে, গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে, হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ও এই কারণে আলসার থাকলে, ধুমপায়ীদের ঝুঁকি বেশি, পাকস্থলীতে পলিপ থাকলে, বংশে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে, গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাস্ক ডিজিজ (খাবার খাওয়ার পর গলায় উঠে আসার মতো সমস্যা) থাকলে, বয়স বাড়লে (৬০ বছরের ঊর্ধে) পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত মদ্যপান ও বাড়তি ওজন এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

img

এই গরমে চোখের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চোখ মানবদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ। আবহাওয়ার তারতম্যে চোখের স্বাস্থ্যের এদিক-ওদিক হতে পারে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গ্রীষ্মকাল মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাপ ও ধুলাবালু নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এ সময় চাই চোখের বিশেষ যত্ন।

অনেকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন , কিন্তু চোখের দিকে সেভাবে খেয়াল থাকে না। তাপদাহ ও অতিবেগুনি রশ্মি চোখেরও অনেক ক্ষতি করে।

সমস্যা

চোখের অ্যালার্জি: অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও দূষণ এর অন্যতম কারণ। এ কারণে চোখ চুলকায় ও লালচে রং ধারণ করে। এমনকি রোদে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াও করে থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চোখের অঞ্জলি: এ ধরনের সমস্যায় চোখের পাতা ফুলে যায়, লাল হয় ও ব্যথা অনুভূত হয়। এগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়ে থাকে।

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া: গরমে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চোখ শুকনো (ড্রাই আই) হতে পারে।

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব: বেশিক্ষণ ধরে রোদের মধ্যে কাজ করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে।

করণীয়

রোদ থেকে চোখকে বাঁচাতে রোদচশমা পরার বিকল্প নেই। রোদচশমা ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে।

মাথায় হ্যাট কিংবা ছাতা ব্যবহার করুন।

চোখকে সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের (এসি) হাওয়া থেকে রক্ষা করুন। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যেখানে কাজ করেন, তার ঠিক সামনে এসি থাকা চলবে না।

চোখের বিশ্রাম দিতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

দীর্ঘ সময় চোখের কাজ করা বা ল্যাপটপ–কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিরতি নিন ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন।

দিনের মধ্যে কয়েকবার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। এমনকি চোখে পানির ঝাপটাও দিতে পারেন। এতে চোখের ময়লা ভেতর থেকেই পরিষ্কার হবে।

বিশ্রামের সময় চোখের ওপর পাতলা করে কেটে নেওয়া শসার টুকরো রাখতে পারেন। এটি আপনার চোখ ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, গাজর, কলিজা ও বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।