img

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ইবিএল ব্যাংকিং পোর্টাল

প্রকাশিত :  ১২:৪৯, ২৬ মার্চ ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৪, ২৬ মার্চ ২০২৩

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ইবিএল ব্যাংকিং পোর্টাল

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) একটি স্বতন্ত্র উইমেন ব্যাংকিং পোর্টাল চালু করেছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশে নারীদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে পোর্টালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

ইবিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পোর্টালটি এমন একটি সেলফ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নারী গ্রাহকরা অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন। এসব সেবার মধ্যে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, আর্থিক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে অনলাইন ঋণ আবেদন– সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন। বিভিন্ন নারী নেতা বৈঠকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ফুডপান্ডার সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী এমবারিন রেজা, এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির  কো-চেয়ারপারসন সারা জাকের, ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের প্রধান নির্বাহী জারা মাহবুব, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান প্রমুখ। ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখারসহ ব্যাংকের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

img

রিজার্ভ চুরির সংবাদ, যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত :  ১৫:৫২, ১৪ মে ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়েছে ভারতীয় হ্যাকাররা। ভারতীয় এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, একটি ভারতীয় সংবাদপত্র নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এটি ভুল সংবাদ। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাংক ফেডের সঙ্গে আমাদের তিন স্তরের কনফার্মেশন পলিসি রয়েছে। যার মাধ্যেমে নিয়মিত লেনদেন তদারক করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, রিজার্ভ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে। যার জন্য ভারতীয় হ্যাকারদের সন্দেহ করা হচ্ছে। উভয় দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনার গোপন তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। খবরে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত তিনজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট–ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ভুয়া বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় চলে যায় দুই কোটি ডলার। পরে শ্রীলঙ্কা থেকে সেই অর্থ অবশ্য উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে দেশটির বিভিন্ন ক্যাসিনোয় ঢুকে যায়। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি। ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে।