img

ঢাকায় ৪ সদস্যের একটি পরিবারের খাবারে ব্যয় মাসে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত :  ০৮:৪৮, ২৭ মার্চ ২০২৩

ঢাকায় ৪ সদস্যের একটি পরিবারের খাবারে ব্যয় মাসে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা: সিপিডি

রাজধানী ঢাকায় চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। আর খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ছোট করলে ব্যয় দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৩১ টাকা। কিন্তু নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের যে আয় তা দিয়ে খাদ্যপণ্য কিনে টিকে থাকা কঠিন।

সোমবার ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডি\'র সুপারিশমালা’ শীর্ষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব তুলে ধরেন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, গত বছর রাজধানীতে চার সদস্যের একটি পরিবারের খাবারের পেছনে প্রতি মাসে খরচ ছিল ১৮ হাজার ১১৫ টাকা। আর খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ছোট করলে ব্যয় দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৬৮৮ টাকা।

সিপিডি জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে দেশের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে।

লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ।

সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য ব্যয় ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। এটাকে রেগুলার ডায়েট বলছে সিপিডি। এখানে ২৫টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৩১ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকা।

img

সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৮:২৭, ০৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৪৯, ০৬ মে ২০২৪

তীব্র তাপদাহের পরে সারাদেশে কালবৈশাখীর ঝড়, বজ্রসহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত এবং রোববার (৫ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। এতে ছয় জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো :
কিশোরগঞ্জ : শনিবার (৪ মে) রাতে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়। এতে আরও একজন আহত হন। মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুপ তারা (৪৬) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

টাঙ্গাইল : ঘাটাইলের ফতেরপাড়া-খিলপাড়া সড়কে গত শনিবার রাতে বৃষ্টিপাতে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়। ওয়াজেদ উপজেলার ২ নম্বর ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

ইসলামপুর (জামালপুর) : ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের কটাপুর এলাকায় শনিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে আব্দুল মজিদ (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মজিদ ওই এলাকার বাসিন্দা।

খাগড়াছড়ি : দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার ভোরে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে একটি টিনের ঘরে আগুন লেগে হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার আরেক ছেলে মো. হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়। তবে ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী ছাদেক মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। একই দিন ভোরে বজ্রপাতে উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া (ডাক্তারপাড়া) এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে গংজ মার্মাসহ (৫০) দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। গংজ মার্মা দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মার্মার ছেলে। একই সময় মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি : কাউখালী উপজেলায় বজ্রপাতে আর্ষা চাকমা (১৪) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু ও আহত হয় আরও ৪ জন। রোববার সকালে উপজেলার দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বার্মাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আর্ষা চাকমা বর্মাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রোববার সকাল ছয়টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এতে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতিতে অন্তত ১০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। অনেক এলাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত পিন্টু বড়ুয়া বলেন, তার একমাত্র অবলম্বন ঘরটি বড় গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।