img

কেজিতে ৪০ টাকা লাভ করায় কাপ্তান বাজারের মুরগির আড়ৎ বন্ধ

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ২৭ মার্চ ২০২৩

কেজিতে ৪০ টাকা লাভ করায় কাপ্তান বাজারের মুরগির আড়ৎ বন্ধ

সোনালী মুরগিতে কেজিতে ৪০ টাকা লাভে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি আড়তকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ২৮৫ টাকা কেজি দরে সোনালী মুরগি কিনে ৩৩৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই আড়তদারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর অন্যতম বড় এই পাইকারী বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনাকালে \'জনতা হাঁস-মুরগির আড়ৎ\' নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পাশাপাশি জাকারিয়া নামের ওই আড়তের এক প্রতিনিধিকে (লাইনম্যান) বাজার মালিক সমিতির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। মুরগির দাম নিয়ে কারসাজির ব্যাখ্যা দিতে ওই প্রতিনিধিসহ বাজার মালিক সমিতির নেতাদের আজ (২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মুরগি উৎপাদনকারী বড় চার প্রতিষ্ঠান (সিপি, আফতাব, কাজী, প্যারাগন) ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এসে ব্রয়লার মুরগি মিল পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়। এর ভিত্তিতে গত শুক্র ও শনিবার (২৪ ও ২৫ মার্চ) দেশব্যাপী তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। তদারকি অভিযানে সার্বিকভাবে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম পড়তির দিকে।

কিন্তু আজ কাপ্তান বাজারে তদারকি করে দেখা গেছে, পাইকারি যে দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হওয়ার কথা সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। কেউ ১৭০ টাকা, কেউ ১৭৫ টাকা করে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন। এই দামে কিনলে কত টাকা করে বিক্রি করা যায় তা আমরা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চেয়েছি। কেউ বলেছেন ১৯০ টাকা, কেউ বলেছে ১৮৫ টাকা করে বিক্রি করা যায়। কিন্তু বাজারে ১৯০ টাকা করে কোথাও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে না। এ জন্য আমরা বাজার সমিতিকে ডেকেছি এবং তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি।

তিনি আরো বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটা কমে এলেও সোনালী মুরগির ক্ষেত্রে এখনো অস্থিরতা রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কোনো ব্যবসায়ী ৩৩৫ টাকা কেজিতে সোনালী মুরগি বিক্রি করছেন, কেউ ৩৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার একই মুরগি কেউ ৩৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ জন্য আমরা মুরগির আড়ৎ তদারকি করতে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা অনিয়ম পাওয়ায় একটি আড়তকে সমায়িকভাবে বন্ধ করেছি। পাশাপাশি ওই আড়তের একজন প্রতিনিধি, যাকে ব্যবসায়ীরা লাইনম্যান বলেন, তাকে আমরা সমিতির হেফাজতে রেখেছি। আজ দুপুর ২টায় ওই লাইনম্যানসহ সমিতির নেতাদের আমরা আমাদের অফিসে ডেকেছি। তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।

img

ভরিতে ২০৬৫ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১৫:৫৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দশ দিনের ব্যবধানে ফের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি ভরিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৫ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। দেশের বাজারে এটাই সোনার সর্বোচ্চ দাম। এর আগে সবশেষ দাম ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের সোনার দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম। সনাতন পদ্ধতির সোনার নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মি‌য়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।