img

এনসিসি ব্যাংকের ৫১ পে-অর্ডারে দেড় কোটি টাকা লুটপাট

প্রকাশিত :  ১৭:২৬, ২৭ মার্চ ২০২৩

এনসিসি ব্যাংকের ৫১ পে-অর্ডারে দেড় কোটি টাকা লুটপাট

জনমত ডেস্ক: বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনসিসি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (২৭ মার্চ) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের ঊর্ধ্বতন জানা গেছে মামলার আসামিরা হলেন- এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের নরসিংদী শাখার বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, বরখাস্ত হওয়া উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান ও ব্যাংকটির অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই ঘটনায় আসামিরা গ্রাহকের নামে পরিচালিত বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব, অন্যান্য গ্রাহকের ভুয়া মেয়াদি আমানত ও বন্ধ হিসাব কৌশলে ব্যবহার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের একই ধরনের অপরাধের পৃথক একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

img

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে আইসিবি পাচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১০:১৯, ১৩ মে ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বাড়ানো এবং কিছু মেয়াদি আমানত পরিশোধ করার জন্য সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং আইসিবি-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ-নিশ্চয়তার (সভরেইন গ্যারান্টি) সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকটিকে এই তহবিল সরবরাহ করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী আইসিবি\'র শেয়ারবাজারের কার্যক্রমকে সমর্থনে সরকারের তৎপরতার অংশ হিসেব সরকারি সুপারিশের সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইসিবি\'র চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইসিবিকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

আইসিবি\'র আরেক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই তহবিলের বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাজারকে সহায়তা দিতে কয়েক বছর ধরে আইসিবি\'র নেওয়া উচ্চ-সুদের মেয়াদি কিছু আমানত পরিশোধ করতেও তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি এই তহবিল আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তাই এটি আমাদের এবং শেয়ার বাজারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে।

এসইসি\'র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বি বলেন, তারা তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। \'কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। তহবিল ছাড় হলে আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা জোরদার হবে এবং সামগ্রিক বাজার উপকৃত হবে,\' তিনি আরও বলেন।