হ্যাপি হরমোন’ বাড়ে যে ৬ খাবারে

প্রকাশিত :  ০৮:৪৭, ২৯ মে ২০২৩

হ্যাপি হরমোন’ বাড়ে যে ৬ খাবারে

বর্তমান সময়ে মানসিক চাপ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসিক চাপ শরীরের উপর নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি, পেশি ব্যথা, বুকে ব্যথা,  মনোযোগের অভাব, ক্ষুধা হ্রাস, রাগ, বিরক্তির মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ মোকাবেলার জন্য জীবনধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি খাদ্যের দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। পুষ্টিবিদরা এমন কিছু খাবারের কথা বলছেন, যেসব মস্তিষ্ককে সুখী হরমোনে ভরিয়ে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর করতে কাজ করে।

শরীরে ‘হ্যাপি হরমোন’ বাড়াতে দৈনিন্দিন খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন-

ভিটমিন বি যুক্ত খাবার : ছোলা এবং শাকসবজির মতো ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খাওয়া মানসিক চাপ মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে।  জীবনে যখন চাপ থাকে, তখন শরীর বি ভিটামিনের মজুত ব্যবহার করতে থাকে।

কাঁচা সবজি : জোয়ান বা গাজরের মতো কাঁচা সবজি খাওয়া মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সবুজ পাতার শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস। নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেলে শরীর মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এই ভিটামিন যুক্ত খাবার স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমাতে ভূমিকার রাখে।

হালকা খাবার : হালকা এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার যেমন-মসুর ডাল এবং ভাত খাওয়া সুখী হরমোন সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।  

ভিটামিন ই যুক্ত খাবার: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম এবং মানসিক চাপের জন্য বি ভিটামিনযুক্ত খাবার খান। এছাড়া জটিল কার্বোহাইড্রেট খেলে মস্তিষ্ক বেশি সেরোটোনিন তৈরি করে।


ইনহেলার ব্যবহারে কি রোজা ভাঙ্গে?

প্রকাশিত :  ০৯:৩৯, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইজমায়ে উম্মাহ তথা বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার একটি বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না। 

বিষয়টি মেডিক্যাল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে। যদি কেউ তার রোজার অংশ হিসাবে সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করাকে বেছে নেন, তবে তার অ্যাজমা ও সিওপিডি লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে পারে।

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়-রোগীদের এ দ্বিধা মোকাবিলায় সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি পদ্ধতি হলো রোগীদের তাদের ইনহেলার ব্যবহারের সময় নিয়ে সাহায্য করা। বেশিরভাগ অ্যাজমা ও সিওপিডি এর প্রতিরোধক ওষুধগুলো দিনে দুবার নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে রোগীরা সেহরির সময় এবং ইফতারের সময় ICS বা ICS+LABA দৈনিক প্রতিরোধক ইনহেলার পুনঃবিন্যাস করতে পারেন।

যেহেতু হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য রোগীদের তাদের প্রতিরোধক ইনহেলার (ICS ও LABA) নির্ধারিত হিসাবে গ্রহণ করা চালিয়ে যেতে হবে। রমজান মাসে প্রতিরোধক থেরাপি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে চিকিৎসকদের কর্তব্য রোগীদের সচেতন করা বা সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া। রমজান মাসে রোগীদের ধূমপান বন্ধ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। রোগীরা চাইলে এ সময়টা ধূমপান (যারা করেন) পরিহার করে ইনহেলার ব্যবহারজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।