প্রকাশিত :
১৫:০২, ৩১ মার্চ ২০১৯ সর্বশেষ আপডেট: ২০:১২, ৩১ মার্চ ২০১৯
জনমত ডেস্ক ।। শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের
বাচ্চা’ বলার দায়ে তোপের মুখে থাকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক
ড. এসএম ইমামুল হক দুঃখ প্রকাশ করেও পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেননি।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, শুধু দুঃখপ্রকাশ করলে কাজ হবে না। ভিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
আর এই দাবি আদায়ে শনিবার বিকেলে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ
করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষমা না চাইলে ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করবেন বলেও
হুমকি দেন তারা।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা হলেই অবস্থান করছেন।
মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদ করায়
শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে কটূক্তি করেন অধ্যাপক ড. এস এম
ইমামুল হক।
এরই প্রতিবাদে গত ২৭ মার্চ থেকে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে গতকাল শুক্রবার রাতে দুঃখপ্রকাশ করে ভিসি
অধ্যাপক ড. এস এম ইমানুল হক বিবৃতি দেন।
প্রকাশিত :
০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।