img

চুল পড়া রোধে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১৬:৩৫, ০১ জুন ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৬, ০১ জুন ২০২৩

চুল পড়া রোধে যা করবেন

ধুলা, ধোঁয়া, দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন - নানা কারণেই চুলের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। চুল ঝরে পড়ছে, জেল্লা হারাচ্ছে, রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। এই সব সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই নামীদামী প্রোডাক্টের ওপর ভরসা রাখেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। তবে এত কিছুর মধ্যে, চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন তেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চুল পড়া, খুশকি, মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা - এই সব কিছু থেকে মুক্তি পেতে চুলে তেল মালিশ করা অপরিহার্য।

চুলের নানা সমস্যায় নারিকেল তেল এবং সরিষার তেল যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। চুল পড়া কমানোর জন্য এই দুই রকমের তেল একসঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন!

চুলের যত্নে নারিকেল তেল: চুলের যত্ন নিতে নারিকেল তেলের বিকল্প নেই। চুলে পুষ্টি জোগানো থেকে শুরু করে চুলের গোড়া মজবুত করা, নতুন চুল গজানো এবং চুল পড়া আটকাতে নারিকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। এই তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ, যা চুলের ক্ষতি হতে দেয় না। চুল ও স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজ করে এবং সুস্থ রাখে, চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে এবং জেল্লা ফেরায়।KSRM

চুলের যত্নে সরিষার তেল:

সরিষার তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়। ফলে চুল পড়া অনেকটাই কমে। এ ছাড়া, সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকে এবং খুশকিও দূর হয়।

নারিকেল তেল এবং সরিসার তেল একসঙ্গে কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

নারিকেল তেল এবং সরিষার তেল আলাদা আলাদা করে হালকা গরম করে নিন। একটি পাত্রে এই দু'রকমের তেল একসঙ্গে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এবং চুলে তেল লাগিয়ে কয়েক মিনিটের ম্যাসাজ করুন। তারপরে অন্তত ৩০ মিনিট চুলে তেল রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু'বার মাথায় তেল লাগাতে পারেন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।