img

রুশ নাগরিকত্ব চান বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী

প্রকাশিত :  ১৪:৫৩, ০২ জুন ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০০, ০২ জুন ২০২৩

রুশ নাগরিকত্ব চান বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী এক মার্কিন নারী মস্কোতে গিয়ে রাশিয়ার নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন। ৫৯ বছর বয়সী তারা রিড দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থাকে বলেছেন, তিনি রাশিয়ায় নিরাপদ বোধ করেন এবং সেখানেই থাকতে চান। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

তিনি অভিযোগ করেছেন, ১৯৯৩ সালে বাইডেনের কংগ্রেসনাল অফিসে কাজ করার সময় তিনি তাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন। তবে এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন জো বাইডেন।

বাইডেন ডেলাওয়্যারের সিনেটর থাকাকালীন তারা রিড তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন রিড অভিযোগ করেন, ক্যাপিটল হিলের করিডরে বাইডেন তাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন তাকে একটি দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তার শার্ট এবং স্কার্টের নিচে হাত ঢোকান।

সংবাদমাধ্যম স্পুটনিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারের রিড বলেন, যখন আমি মস্কোতে বিমান থেকে নামলাম, খুব দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমি নিরাপদ বোধ করলাম।

তিনি বলেন, একজন রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ তিনি বিপদে আছেন বললে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান।

রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ আমি রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাই…আমি একজন ভাল নাগরিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বলেন তিনি।

তবে তিনি তার মার্কিন নাগরিকত্ব বজায় রাখার আশা করছেন বলে জানিয়েছেন।

২০১৯ ও ২০২০ সালে বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে আসা নারীদের মধ্যে একজন রিড।

তিনি বলেন, তিনি এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যদিও এর কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি এবং তার দাবিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করা হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।