img

সৌদি থেকে ফিরল ভুক্তভোগী ১২ নারী কর্মী

প্রকাশিত :  ০৯:০৪, ০৪ জুন ২০২৩

সৌদি থেকে ফিরল ভুক্তভোগী ১২ নারী কর্মী

সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে সেখানে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অনুসন্ধান ও প্রচেষ্টায় দেশে ফিরলো ভুক্তভোগী ১২ নারী কর্মী।

শনিবার ( ৩ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

তিনি জানান, গত মাসে(মে) একজন নারী ভুক্তভোগীর স্বামী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ জানান যে তার স্ত্রী ৬ মাস আগে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজ করতে সৌদী আরব গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে তিনি তার স্ত্রীর সাথে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। লোকমুখে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তিনি তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এপিবিএনের সহযোগিতা চান। একই সাথে যে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদিতে গিয়েছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপর এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দল বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে।

জিয়াউল হক আরও জানান, এরপর ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী কোথায় কি অবস্থায় আছে সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এজেন্সি বিষয়টি বুঝতে পারে যে ইস্যুটি নিয়ে এপিবিএন গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এ সময় অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সির অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়, গা ঢাকা দেন সেখানে কাজ করা কর্মচারীরা। তারা মনে করেছে ভুক্তভোগী নারীদের দেশে ফিরিয়ে আনলে হয়তো তারা আইনগত জটিলতার বিষয়টি থেকে মুক্তি পাবেন। যার কারণে ট্রাভেল এজেন্সি সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ নারী ভুক্তভোগীকে আজ বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনে।

এসময় অভিযোগ জানানো ভদ্রলোকের স্ত্রী সহ আরো ১১ জন ভুক্তভোগী নারী ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পৌঁছালে এপিবিএন তাদেরকে বিমানবন্দরে রিসিভ করে। এসময় ব্র‍্যাকের মাইগ্রেশন প্রকল্পের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

দেশে ফিরে আসা নারীদের কাছ থেকে এপিবিএনের তদন্ত দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান যে তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেল এজেন্সি সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

চালকের গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত :  ০৫:৩৩, ১৩ মে ২০২৪

নীলফামারীতে চালককে গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১২মে) রাত ১২টার দিকে নীলফামারী পৌর শহরের কুখাপাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চালকের নাম সাফিয়ার রহমান (৫৫)। তিনি  নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই ময়দানের পাড়া এলাকার মৃত. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে ইজিবাইকে উঠে দুর্বৃত্তরা। এরপর জনশূন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করে তারা। এ সময় চালক সাফিয়ার তাদের বাধা দেয়। বাধা দেওয়ায় তাকে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশেপাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্স যোগের রংপুর যাওয়ার রাত সাড়ে ১টার দিকে মারা যান তিনি।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম  বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।