img

দ্রুতগতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল স্কুলছাত্র শিবলীর প্রাণ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত :  ০৬:৩৬, ০৫ জুন ২০২৩

 দ্রুতগতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল স্কুলছাত্র শিবলীর প্রাণ, সড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দ্রুতগতির মোটরসাইকেল চাপায় স্কুলছাত্র শিবলী হাসান (১৭) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী।

এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও স্পিড ব্রেকারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহত স্কুলছাত্রের সহপাঠীরা

রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

নিহত শিবলী গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও দিনারপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

আহতরা হলেন- দিনারপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও বাউসা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (১৮), দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও দেবপাড়া ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে ইকবাল আমীন (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দিনারপুর উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট রাস্তা পারাপার হচ্ছিল শিবলী। এ সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল স্কুলছাত্র শিবলীকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুই কলেজছাত্র ও স্কুলছাত্র শিবলী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শিবলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে শিবলীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দিনারপুর উচ্চবিদ্যালয়ের তার সহপাঠী বিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় তারা জড়িতদের শাস্তি ও স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার স্থাপনের দাবি জানায়।

খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানা ও গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

img

সিলেটে মাঠে মিলল পত্রিকার কর্মীর মরদেহ, পাশেই ছিল বাইক

প্রকাশিত :  ১৫:৩৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০৪, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে নগরের হাজারীবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।
নিহত অমিত দাস শিবু গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরের বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

জানা গেছে, অমিত দাস শিবু রাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তার মোবাইল পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।