img

ফের বেপরোয়া জেমিনির শেয়ার নিয়ে কারসাজিকারিরা !

প্রকাশিত :  ০৮:৪৫, ০৫ জুন ২০২৩

ফের বেপরোয়া জেমিনির শেয়ার নিয়ে কারসাজিকারিরা !

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নানা কারণে আলোচিত কোম্পানি জেমিনি সী ফুডের শেয়ার নিয়ে কারসাজিকারীরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এর আগেও কারসাজিকারীরা শেয়ারটিকে একটানা দর বাড়িয়ে আকাশের চূড়ায় উঠিয়েছিল। তারপর কিছুদিন বিরতির পর ফের শেয়ারটির দর আকাশচুম্বী করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর দিনের মধ্যভাগেই বিক্রেতাশুন্য করে রাখে।

এর আগে শেয়ারদর অস্বাভাবাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটির এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জেমিনি সী ফুডের শেয়ার কারসাজির বিষয় তদন্ত করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে নির্দেশ দেয়। তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেই শেয়ারটি নিয়ে ফের মাথাছাড়া দিয়েছে কারসাজি চক্রটি।

তদন্ত কমিটি গঠনের পরও একটি দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিভাবে মাথাছাড়া দিয়ে উঠে, তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন। এভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কারসাজিকারীদের বেপরোয়া আচরণ খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

বাজার বিশ্ষেষণে দেখা যায়, আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮১৭ টাকা ৯০ পয়সা। আজ দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার ক্লোজিং হয়েছে ৮৭২ টাকায় ৭০ পয়সায়। যদিও সার্কিট ব্রেকারে সর্বোচ্চ দর ৮৭৯ টাকা ৩০ পয়সায় শেয়ারটি বিক্রেতাশুন্য ছিল।

গত এক মাসের কোম্পানিটির শেয়ার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত ৩ মে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮৭০ টাকা ৫০ পয়সা। আজ দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার ক্লোজিং হয়েছে ৮৭২ টাকায় ৭০ পয়সায়। এই হিসাবে গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ০.২৫ শতাংশ।

গত ৩ মে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৯৪ টাকা। আজ দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার ক্লোজিং হয়েছে ৮৭২ টাকায় ৭০ পয়সায়। এই হিসাবে গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৭৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ১২১.৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। ২০২১ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সর্বশেষ ২০২২ সালে শেয়ারদর চাঙ্গা হওয়ার পর ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ি, কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৬১ লাখ ৫ হাজার ২০৬টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.০১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.৬৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৩৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪.৯৫ শতাংশ শেয়ার।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ২৮.৯৪ শতাংশ। যা ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৮ শতাংশে। এপ্রিল মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার কমেছে ১৪.২৮ শতাংশ।

img

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে আইসিবি পাচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১০:১৯, ১৩ মে ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বাড়ানো এবং কিছু মেয়াদি আমানত পরিশোধ করার জন্য সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং আইসিবি-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ-নিশ্চয়তার (সভরেইন গ্যারান্টি) সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকটিকে এই তহবিল সরবরাহ করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন দিয়েছেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী আইসিবি\'র শেয়ারবাজারের কার্যক্রমকে সমর্থনে সরকারের তৎপরতার অংশ হিসেব সরকারি সুপারিশের সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আইসিবি\'র চেয়ারম্যান সুবর্ণ বড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেয়ারবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক ও আশাবাদী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইসিবিকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।

আইসিবি\'র আরেক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই তহবিলের বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়া বাজারকে সহায়তা দিতে কয়েক বছর ধরে আইসিবি\'র নেওয়া উচ্চ-সুদের মেয়াদি কিছু আমানত পরিশোধ করতেও তহবিলের কিছু অংশ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি এই তহবিল আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তাই এটি আমাদের এবং শেয়ার বাজারের জন্য খুব ইতিবাচক হবে।

এসইসি\'র একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বি বলেন, তারা তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। \'কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল দিতে রাজি হয়েছে। তহবিল ছাড় হলে আইসিবি\'র বিনিয়োগ সক্ষমতা জোরদার হবে এবং সামগ্রিক বাজার উপকৃত হবে,\' তিনি আরও বলেন।