আজ ব্লকে তিন কোম্পানির বড় লেনদেন

প্রকাশিত :  ১১:৪৩, ০৫ জুন ২০২৩

আজ ব্লকে তিন কোম্পানির বড় লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১০৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মোট ৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে তিন কোম্পানির শেয়ার। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, গ্রামীণফোন এবং ব্রিটিশ অ্যামেরিকার টোব্যাকো। আজ এই চার কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকারও বেশি। যা ব্লক মার্কেটে মোট লেনদেনের সাড়ে ৩৩ শতাংশ।

জানা গেছে, এই তিন কোম্পানির মধ্যে এ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার, গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার এবং ব্রিটিশ অ্যামেরিকার টোব্যাকোর ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, ব্লক মার্কেটের গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে অংশ নেওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমারেল্ড অয়েলের ৫ কোটি ৪৯ লাখ, ই-জেনারেশনের ৪ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার, বেক্সিমকো ফার্মার ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২ কোটি ৬১ লাখ ২৮ হাজার, জেমিনি সি ফুডের ২ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার, প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের ২ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার এবং সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন