আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে হচ্ছে কৌশলপত্র

প্রকাশিত :  ২০:৩০, ০৫ এপ্রিল ২০১৯

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে হচ্ছে কৌশলপত্র

জনমত ডেস্ক ।। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রাথমিক খসড়া তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চূড়ান্ত খসড়া আনা হবে কয়েক মাসের মধ্যে।

২০১৯ সালের মার্চের শুরুর দিকে এই খসড়া তৈরি শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে। ওই মাসে ‘ডেভেলমেন্ট অব ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ তৈরিতে পদ্ধতিগত কাজগুলো শুরু করে সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বা এটুআই।

এটুআইয়ের চিফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী জানান, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কৌশলপত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রায় তৈরি পথে। কয়েক মাসের মধ্যে এটির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা। ‘যত দ্রুত সম্ভব, এখানে সরকারি কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এটি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা হবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিতে হবে, বিভিন্ন পলিসি সঙ্গে একটি যাচাই-বাছাই করতে হবে, প্রয়োজনে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও লাগতে পারে’ বলছিলেন এই কর্মকর্তা। এআই কৌশলপত্র নিয়ে দেশের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে এটুআইয়ের সিটিও বলেন, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একদিকে মেশিনের কার্যক্রম বাড়বে বিপরীতে মানুষের কার্যক্রম কমে আসবে। এতে মানুষ চাকরি হারাবে। আবার জনসংখ্যা বাড়লেও মেশিনের কার্যক্রমের কারণে চাকরি বাড়বে না। এতে চাকরিও সংকুচিত হয়ে আসবে। ফলে মানুষকে রিস্কিলিং বা নতুন করে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। না হলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে ব্যাপকভাবে।

অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ার বিপরীতে ল্যান্ডও কমে আসবে। এতে মানুষের খাদ্য সংকটসহ নানা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসবে। তাহলে সেখানেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হবে’ ‘আবার আমরা ট্রাফিক জ্যামের কথা বলি। ট্র্যাফিক জ্যাম কিন্তু কমবে না, কারণ মানুষ বাড়বে, গাড়ি বাড়বে রাস্তা তো বাড়বে না। তাহলে এখানে এমন কিছু নিয়ে আসতে হবে যেখানে মেশিন ইন্টারভেনশন হবে হিউম্যান ইন্টারভেনশনে কাজ হবে না’ ‘এছাড়া এই মেশিন ইন্টারভেশনে মানুষের সাইবার ও বাস্তব জগতে নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও রয়েছে’ বলেন এই চিফ টেকনোলজি অফিসার।

মোহাম্মদ আরফে এলাহী জানান, পৃথিবীর অনেক দেশেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কৌশল ঠিক করা হয়েছে। সব দেশেই এই মেশিন ইন্টারভেশন হচ্ছে। বাংলাদেশেও একটু-আকটু কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা কী করবো, কবে নাগাদ করবো, কীভাবে করবো এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা, গাইডলাইন বা মাইলস্টোন আমাদের নেই। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন এবং ফাইভজি নিয়ে পরবর্তী ৫ বছরে প্রমোট করার কথা বলেছেন। এখন যদি জাতীয় পর্যায়ে একটি স্ট্র্যাটেজি গাইডলাইন থাকে যে পরবর্তী ৫ বছরে আমরা কী করবো। যেটাকে বেইজ ধরে সরকার পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইন্ড্রাস্ট্রিতে এগিয়ে যাবে এবং যে অনুয়ায়ী ফোর্থ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের চ্যালেঞ্জগুলো যেনো চিহ্নিত করা যায়।

এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এপ্রিলের প্রথম দিকে এটুআইয়ের জাতীয় পর্যায়ের একটি কর্মশালা করার কথা রয়েছে। যেখানে এই কৌশলপত্রের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে আইটি ডিভাইস তৈরি করেছে এবং গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে।একটি কোম্পানি দেশের বাইরে এ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি রপ্তানিও করছে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে এখাতে ছোট পরিসরে বিভিন্ন উদ্যোগ দেখা যায়।

বিশ্বের প্রথম সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল আনছে বাজাজ

প্রকাশিত :  ০৪:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

এই প্রথম বিশ্বের প্রথম সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল বাজারে আনছে ভারতের বাজাজ অটো। যা বাজারে এলো আলোড়ন তৈরি হবে।  সিএনজি-চালিত মোটরসাইকেল বাজারে আসার খবর অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব এই বাইক কবে নাগাদ বাজারে আসবে তার দিনক্ষণ জানা যায়নি। এবারে এই মোটর সাইকেল নিয়ে যা জানালো কোম্পানির সিইও।

বাজাজ কোম্পানির সিইও রাজীব সম্প্রতি জানান বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে চলেছে তারা।

উচ্চ মাইলেজ সম্পন্ন বাইকের কথা বললে হিরো স্প্লেন্ডর এবং হোন্ডা সাইনের নামই প্রথমে আসে। কম তেল খায় বলে ১০০ সিসির বাইক বেশি কেনেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। তবে হিরো, টিভিএস এবং হোন্ডাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শিগগিরই সিএনজি বাইক আনছে বাজাজ অটো। এটি ভারত তথা বিশ্বের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল হতে চলেছে।

ইতিমধ্যে বাইক নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ব্যবসায়িক মহলে। আর হবে নাই বা কেন! এতদিন সিএনজি চার চাকা ও তিন চাকা দেখেছে বিশ্ববাসী কিন্তু, সিএনজি বাইক এখনও পর্যন্ত কেউ দেখেনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ প্রত্যাশা লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বাজাজ সিএনজি বাইকের খবর।

পেট্রোল চালিত বাইকের তুলনায় বেশি মাইলেজ পাওয়া যেতে পারে এই মোটরসাইকেলে। এমনই দাবি করছেন কেউ কেউ। তাছাড়া এই বাইকে পেট্রোলের তুলনায় পরিবেশ দূষণও কম হবে। রাইডার খুব সহজে সুইচ টিপে পেট্রোল থেকে সিএনজি মোডে ট্রান্সফার করতে পারবেন। 

এই মুহূর্তে বাজাজ প্ল্যাটিনা মডেলে সবথেকে বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৭০ কিলোমিটার যেতে পারে। তবে সিএনজি বাইক এর থেকে বেশি মাইলেজ দেবে এমনটা মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে হিরো স্প্লেন্ডর, টিভিএস স্পোর্ট এবং হোন্ডা সাইনেও এত মাইলেজ পাওয়া যায় না।

মাইলেজ ভালো হলে তবেই সেই বাইক কেনেন একজন মধ্যবিত্ত ক্রেতা। মাইলেজ যদি খারাপ হয় তাহলে সেই বাইক বেশিদিন বাজারে টিকতে পারে না। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এতে ১১০ সিসি ইঞ্জিন থাকতে পারে সঙ্গে সিএনজি সিলিন্ডার। যদিও কত ক্যাপাসিটির সিলিন্ডার এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি সংস্থা।

বাজাজ সিএনজি বাইক শুধু মাইলেজের দিক দিয়ে সেরা হবে না, দামও থাকতে পারে মধ্যবিত্তের নাগালে। ভারতে ১ লাখ রুপি বা তার আশেপাশে থাকতে পারে বাইকের এক্স-শোরুম মূল্য। কোম্পানির সিইও রাজীব বাজাজ জানিয়েছেন, জুনে লঞ্চ করা হবে এই সিএনজি বাইক।

আপনার যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাইক কেনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে দাঁড়িয়ে যান। জুনে বাইকটি আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হওয়ার পর মানুষের কাছে যে কমিউটার বাইক সেগমেন্টে বিকল্প আরও বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।