img

বৈশাখী গরমে ত্বকের সতেজতায় বিশেষ যত্ন

প্রকাশিত :  ২০:৩১, ০৫ এপ্রিল ২০১৯

বৈশাখী গরমে ত্বকের সতেজতায় বিশেষ যত্ন

জনমত ডেস্ক ।। বৈশাখ মানেই শুরু হয়েছে \r\nগ্রীষ্মে দাপট। আর পহেলা বৈশাখের জন্য কেনাকাটা, ঘুরাঘুরি জন্য ত্বকে দেখা \r\nদিবে নানা সমস্যা। এই গরমেও ত্বক আর্দ্রতা হারায়। তাছাড়া এই সময় রোদেপোড়া, \r\nব্রণ, ফুস্কুড়ি ইত্যাদির সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই এই বৈশাখে যেন নিজেকে সতেজ \r\nরাখতে পারেন তার জন্য জেনে নিন কিছু টিপস।

ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: গরমে ত্বক থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে\r\n যায়। তাই ত্বকও আর্দ্রতা হারায়। এই আবহাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে\r\n হবে। পানি ও প্রচুর পানিজাতীয় খাবার-ফলমূল খেতে হবে এই গ্রীষ্মে ত্বক সতেজ\r\n রাখতে।

রোদ থেকে সুরক্ষা: গ্রীষ্মে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত যতটা \r\nসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এই সময়ে সূর্যের তাপ সব থেকে প্রখর থাকে। \r\nতাছাড়া এই ঋতুতে ঘর থেকে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে পুরো মুখে ও যে \r\nঅংশগুলোতে রোদ লাগতে পারে সেখানে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘ সময় \r\nবাইরে থাকলে দিনে একাধিকবার সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বক শীতল রাখুন: অর্ধেক শসা ও এক টেবিল-চামচ দই একসঙ্গে ব্লেন্ড করে \r\nনিতে হবে। এই প্যাক গরমে ত্বক শীতল করতে সাহায্য করবে। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ \r\nমিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ওয়াটার-বেইস ময়েশ্চারাইজার: অনেকে মনে করেন গরমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার \r\nনা করলেও চলবে। তবে গরমে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বক কোমল রাখতে \r\nময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর গ্রীষ্মে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার \r\nসমস্যা এড়াতে ‘ওয়াটার-বেইস’ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে হবে।

এড়িয়ে চলুন কোমল পানীয়: গ্রীষ্মে বরফ শীতল কোমল পানীয় অনেকেরই দারুণ \r\nপছন্দ। তবে কোমল পানীয়তে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, যা ত্বক ও স্বাস্থ্য \r\nদুইয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

গরমে পিপাসা মেটাতে পানি, লেবুর শরবত, কাঁচাআমের শরবত, ডাবের পানি বা \r\nবিশুদ্ধ ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে \r\nপানি পাবে এবং প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকবে। গরমে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন\r\n যুক্ত পানীয়ও এড়িয়ে চলতে হবে।

দিনে দু’বার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে: সারাদিন ঘরে বসে থাকলেও দিনে অন্তত\r\n দু’বার ত্বক পরিষ্কার করা প্রয়োজন এই মৌসুমে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক \r\nপরিষ্কার করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

এক্সফলিয়েট: গরমের সময় ত্বকের মৃত কোষ দূর করে রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে \r\nএক্সফলিয়েট করা অত্যন্ত জরুরি। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ক্রাব বেশ \r\nসহজলভ্য। সেখান থেকে ত্বকের সঙ্গে মানানসই একটি মাস্ক বেছে নেওয়া যেতে পারে\r\n বা চাইলে নিজেই ঘরে তৈরি করা যেতে পারে এক্সফলিয়েট করার স্ক্রাব।

স্ক্রাব তৈরি করতে চার থেকে পাঁচ টেবিল চামচ ময়দা, এক চিমটি হলুদগুঁড়া, \r\nকয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ও দুধ বা দই একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে \r\nহবে। এটি দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করলে উপকার পাওয়া যাবে।

রোদে পোড়াত্বকের যত্ন: গ্রীষ্মে ত্বকে রোদেপোড়া ছাপ পড়বে না, তা কি হয়! \r\nতবে ঘরোয়া পরিচর্যায় রোদেপোড়া ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ময়দা, দই ও কয়েক\r\n ফোঁটা লেবুর রসের মিশ্রণে তৈরি মাস্ক ‘সান ট্যান’ দূর করতে দারুণ উপকারী। \r\nরোদে পোড়াভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করতে লেবুর রস দারুণ কার্যকরী।

গরমেও উজ্জ্বল ত্বক: গরমে ত্বকচর্চায় দারুণ উপকারি পেঁপে। দুই \r\nটেবিল-চামচ পেঁপে ভর্তা, এক চা-চামচ মধু ও একটি ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে \r\nপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে \r\nহবে। এই প্যাক ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

টোনার ব্যবহার: গরমে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ রাখা খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিন \r\nনিয়ম করে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার লোমকূপ সংকোচিত করার পাশাপাশি ত্বক\r\n ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে টোনার ব্যবহার করলে \r\nগ্রীষ্মে উপকার পাওয়া যায়। তবে টোনারের বদলে চাইলে গোলাপ জলও ব্যবহার করা \r\nযেতে পারে।

img

এই গরমে চোখের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:৪৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চোখ মানবদেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অঙ্গ। আবহাওয়ার তারতম্যে চোখের স্বাস্থ্যের এদিক-ওদিক হতে পারে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গ্রীষ্মকাল মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাপ ও ধুলাবালু নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এ সময় চাই চোখের বিশেষ যত্ন।

অনেকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন , কিন্তু চোখের দিকে সেভাবে খেয়াল থাকে না। তাপদাহ ও অতিবেগুনি রশ্মি চোখেরও অনেক ক্ষতি করে।

সমস্যা

চোখের অ্যালার্জি: অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও দূষণ এর অন্যতম কারণ। এ কারণে চোখ চুলকায় ও লালচে রং ধারণ করে। এমনকি রোদে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াও করে থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চোখের অঞ্জলি: এ ধরনের সমস্যায় চোখের পাতা ফুলে যায়, লাল হয় ও ব্যথা অনুভূত হয়। এগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়ে থাকে।

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া: গরমে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চোখ শুকনো (ড্রাই আই) হতে পারে।

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব: বেশিক্ষণ ধরে রোদের মধ্যে কাজ করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে।

করণীয়

রোদ থেকে চোখকে বাঁচাতে রোদচশমা পরার বিকল্প নেই। রোদচশমা ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে।

মাথায় হ্যাট কিংবা ছাতা ব্যবহার করুন।

চোখকে সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের (এসি) হাওয়া থেকে রক্ষা করুন। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যেখানে কাজ করেন, তার ঠিক সামনে এসি থাকা চলবে না।

চোখের বিশ্রাম দিতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

দীর্ঘ সময় চোখের কাজ করা বা ল্যাপটপ–কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিরতি নিন ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন।

দিনের মধ্যে কয়েকবার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। এমনকি চোখে পানির ঝাপটাও দিতে পারেন। এতে চোখের ময়লা ভেতর থেকেই পরিষ্কার হবে।

বিশ্রামের সময় চোখের ওপর পাতলা করে কেটে নেওয়া শসার টুকরো রাখতে পারেন। এটি আপনার চোখ ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, গাজর, কলিজা ও বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।