img

মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৬:০৩, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

জনমত রিপোর্ট ।। মদপানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহতাসিম রাফিক খান তুর্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তুর্য রায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রফ্রন্টের নেতা তোহরাব হোসেন দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।  তোহরাব হোসেন জানান, রাফিক খানের বাড়ি খুলনায়। আর তুর্য রায়ের বাড়ি উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারী। তুর্য নগরীর বালিয়াপুকুরের একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন। আর রাফিক খান থাকতেন মোন্নাফের মোড়ের একটি ছাত্রাবাসে। দুজনই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। দুজনের বন্ধুত্ব ছিল খুব ভাল।  তোহরাব হোসেন আরও জানান, শুক্রবার রাতে রাফিক খান, তুর্য রায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে মদপান করেছিলেন। এদের মধ্যে রাবির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে রাখা আছে।  তিনি আরও জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে রাফিক খান তুর্য তাকে ফোন করে মদপানের কারণে তাদের দুজনের অসুস্থতার কথা জানান। তিনি তাদেরকে তার বাসার রোড এলাকার ছাত্রাবাসে ডাকেন। পরে রাফিক খান ও তুর্য রায় তার ছাত্রাবাসে যান। তোহরাব তাদের হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বলেন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলে তারা ঠিক হয়ে যাবেন। তোহরাব তাদের ডাবের পানি ও স্যালাইন পান করতে দেন। এরপর তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। 

ছাত্রফ্রন্ট নেতা আরও জানান, রাত তিনটার দিকে রাফিক খান বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত চারটার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়। এর মধ্যে ছাত্রাবাসে থাকা তুর্য রায়েরও অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাকেও হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে রাফিক খান এবং সকাল সাতটার দিকে তুর্য রায় মারা যান।  রাবি সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসছেন। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যাবেন।

img

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত :  ১৩:৩০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছরে চবিতে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৮ বছরের বেশি সময় আগে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। 

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে। সেখানে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে। এদিকে ৯ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে চবির ৫ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন ও তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ৭ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন ছিল এটি। এর আগে তৃতীয়বারের মতো সমাবর্তন হয় ২০০৮ সালে। এছাড়া প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৪ সালে এবং দ্বিতীয় বার ১৯৯৯ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা এর আরও খবর