img

পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৬:২৯, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে

জনমত ডেস্ক ।। অনেকেরই দীর্ঘক্ষণ অফিসে বসে বসে কাজ করা হয়। এভাবে দৈনন্দিন বাড়তে থাকা কাজের চাপের ফলে বাড়ছে ঘাড়, কোমড় ও পিঠের ব্যথা। সমস্যা বাড়লেই, চট করে কাজের ধরন বদলে ফেলা সম্ভব হয় না। তবে এসব ঘাড়, কোমড় ও পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রা এবং হাঁটা-চলা ও বসার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। আসুন জেনে নিই এমন ঘাড়, কোমড় আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়-

১. অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলে মাঝে মাঝে ২-৩ মিনিটের জন্য উঠে একটু হেঁটে আসুন। চিকিৎসকদের মতে, একটানা ২ ঘণ্টা বসে থাকলে শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমড়ে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।

২. ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদী এই অভ্যাস করলে বিপদ। চিকিৎসকদের মতে, তেমন কোনো চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর ওপর নির্ভর না করাই ভালো। এর থেকে চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা উত্তম।

৩. বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বেরনোর আগে অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে এবং এক্ষেত্রে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমনভাবে নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।

৪. বেশিরভাগ মানুষই ভুল ভঙ্গিমায় বসে বা দাঁড়ায়। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা শোওয়ার সময় ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন বা দাঁড়ান। ঝুঁকে বসবেন না বা কম্পিউটারে কাজ করবেন না।

৫. শোওয়ার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে, বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়। এলোমেলোভাবে ঘুমাবেন না, সোজা হয়ে বা এক পাশে কাৎ হয়ে ঘুমান

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।