প্রকাশিত :
০৬:৩০, ১৬ আগষ্ট ২০২৩ সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ১৬ আগষ্ট ২০২৩
যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গ্রেফতার তিন জনই বুলগেরিয়ার নাগরিক। তারা রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী গোয়েন্দাদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের অধীনে ফেব্রুয়ারিতে তাদের আটক করা হয়। এরপর থেকে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
তবে এই বিষয়ে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। গ্রেফতারকৃত তিন বছর অনেক বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছেন। তারা বিভিন্ন চাকরিতে কাজ এবং লন্ডন শহরতলির বিভিন্ন বাসায় বসবাস করেছেন।
জানুয়ারিতে লন্ডনের ওল্ড বেইলিতে তিন আসামির বিচার হওয়ার কথা। তারা এখনো অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানায়নি।
লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে হাজার হাজার মানুষের মিছিল
প্রকাশিত :
২১:৩০, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৫, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে মিছিল করেছেন। শনিবার, ৫ অক্টোবর, হাজার হাজার মানুষ রাসেল স্কোয়ার থেকে হোয়াইটহল পর্যন্ত হেঁটে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমাবেশ গিয়ে যোগদান করে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যাতে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে অনেকেই আসেন ।
"এখনই যুদ্ধবিরতি" এবং "এখন বোমাবর্ষণ বন্ধ করুন" এর মতো বার্তা সম্বলিত ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করতে লোকজনকে দেখা যায়।
মিছিলকারীদের মধ্যে ‘বেঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের একটি দল ছিল। দলের সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'গত ১২ মাস ধরে, ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নৃশংসতা চালিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যামূলক হামলা চালিয়েছে।‘
বাঙালির মিছিলে ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহেদ আলী, বর্ণবাদ বিরোধী এক্টিভিস্ট রফিক উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়নাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট তৈমুস আলী, লুকমান উদ্দিন, আলা মিয়া আজাদ, জামাল আহমেদ খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, মোহাম্মদ সিদ্দিক, শফিক আহমেদ, মজিবুল হক মনি, সৈয়দ গুলাব আলী প্রমুখরা বলেন যে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সাথে সমস্ত অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করার দাবিতে আমরা মিছিল করছি। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করছি।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের বেন জামাল বলেছেন, ‘শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার এক বছর উপলক্ষে মিছিল করেছে, এমন একটি গণহত্যা যা কমপক্ষে ৪১,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং ২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। কয়েক মাস ধরে, আমরা সতর্ক করে আসছি যে ইসরায়েলকে তার অপরাধের জন্য দায়মুক্তি প্রদান করলে তা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঝুঁকির মধ্যেই রাখবে না বরং একটি বিস্তৃত অগ্নিসংযোগের ঝুঁকি তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন যে গত সপ্তাহে, আমরা এই বাস্তবতাকে উন্মোচিত হতে দেখেছি, ইসরায়েল লেবানন এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে যা শত শত বেসামরিক নাগরিক সহ ১,০০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু ছিল। এখন, আমরা একটি বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।