img

নিউ ইয়র্কে প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি, মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ২৭ আগষ্ট ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৮, ২৭ আগষ্ট ২০২৩

নিউ ইয়র্কে প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি, মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা

‘আল্লাহু আকবর- আল্লাহু আকবর’ এই সুমধুর ধ্বনির মুগ্ধতা এখন ছড়িয়ে পড়বে নিউ ইয়র্কের বাতাসে। চার দেয়ালে ভেতরের আজানের ধ্বনি এখন প্রকাশ্যে আসবে। শনিবার (২৪ আগস্ট) নিউ ইয়র্কের মেয়র অফিসের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমোদন দেয়। মুসলিম কমিউনিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্যের এই ঘোষণায় আনন্দের জোয়ার বইছে এখানে বসবাসরত ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে। তবে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সাউন্ড ল অনুযায়ী সকাল ৯টার পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পর অনুমতি ব্যতীত কোথায়ও উচ্চ আওয়াজ/ মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেই কারণে ফজর এবং এশা ব্যতীত এখন থেকে জোহর, আসর এবং মাগরিব এই তিন ওয়াক্ত নামাজের আজানের জন্য আর অনুমতি লাগবে না। তবে এই তিন সময়ের আজানেও সাউন্ড লিমিট মানতে হবে। সেই সাথে প্রতিবেশী কমিউনিটির সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। 

এদিকে প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি নিয়ে মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে উৎসবের জোয়ার বইছে। তারা বলছেন- ইসলাম ধর্মের অন্যতম ফরজ হলো নামাজ। সেই নামাজের আহ্বানে যে সুমধুর আজান দেয়া হয় তা এখন প্রকাশ্যে দেয়া যাবে।

যা খুশির খবর। বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় মুসলিম সেলিম রেংগেজ বলেন, অনেকদিন থেকেই তারা প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করছেন। অবশেষে আজ সফল হলেন। এই অনুমতি এখানে মুসলিম কমিউনিটির প্রতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানার সুযোগ হবে। তারা আজানের কারণে যাতে অন্য ধর্মের লোকদের অসুবিধা না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে সকল মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান জানান, এই অনুমতি ইসলামকে অন্য ধর্মের লোকদের জানারও সুযোগ করে দিবে। তিনি আজান দেয়ার জন্য সুমধুর কণ্ঠের অধিকারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ আজির উদ্দিন বলেন, এটা খুবই খুশির সংবাদ। আমেরিকার বুকে আল্লাহু আকবর প্রকাশ্যে বলা স্বপ্ন ছিলো। আজ তা পূরণ হলো। তিনি প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি দেয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের মেয়রসহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

img

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত :  ১৫:৪০, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৬ হিজরি, ২০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।