img

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যত্ন

প্রকাশিত :  ১১:৩৬, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যত্ন

মাইক্রোওয়েভ ওভেন আজকাল প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। তবে এই ওভেনের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা নেই। শুধু কিচেনে রেখে বাইরের দিকটা সাফ রাখলেই হবে না। এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। আর এই নিয়ম না জেনে আমরা অনেক সময় কিছু ভুল করে বসি। 

উপযুক্ত পাত্র ব্যবহার করুন

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পশ্চিমা বিশ্বে আজকাল পরোটা ভাজার জন্যও আলাদা কড়াই বানানো হয়। তারা উপযুক্ত তৈজসের ক্ষেত্রে কতটা সচেতন তা এ উদাহরণেই বোঝা যায়। ধাতব কোনো কিছু দেওয়া মাইক্রোওয়েভের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অন্যান্য উপাদানও ক্ষতি করতে পারে। মাইক্রোওয়েভে দেওয়ার যোগ্য না, এমন যেকোনো প্লাস্টিকের পাত্র এড়িয়ে চলতে হবে। ভেতরে যদি সামান্য পরিমাণ প্লাস্টিকও গলে যায়, তাহলেও বড় ক্ষতি হতে পারে। এতে খাবারেরও ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া ওভেনে আগুন লাগলে ক্ষতিটা ভয়াবহ হতে বাকি থাকবে না।

ওভেনের দরজা আটকান মৃদু শক্তিতে

ব্যবহার শেষ হলে খাবার বের করেই অনেকে পেছন ফিরে দরজাটা দরাম করে আটকে দেন। এভাবে করলে দরজা জোরে আটকাতে পারে অথবা ঠিকমতো নাও লাগতে পারে। যন্ত্রটির কোনো অংশ নষ্ট হলে আপনারই ক্ষতি।

খাবার না দিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেন চালানো

অনেক সময় কোনো খাবার না দিয়েই অনেকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন দেন চালু করেন। এটা কত ক্ষতিকর ভাবতেও পারবেন না। ভেতরে কিছু না থাকলে মাইক্রোওয়েভ নিজেই নিজের উৎপাদিত শক্তি শোষণ করে। ফলে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত ওজন

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের একটা লিমিট আছে। ফ্রিজের মতোই এটি লিটারে হিসেব করা। তাই ধারণক্ষমতার বেশি খাবার এই যন্ত্রে রান্না না করাই ভালো।

সঠিক সার্কিট ব্যবহার না করা

রান্নাঘরের জন্য আলাদা সার্কিট সিস্টেম থাকে। বৈদ্যুতিক প্রবাহের তারতম্য থেকে যন্ত্রে পাওয়ার ইনপুট ভালো না হলে আবার অতিরিক্ত হলে আগুন লাগতে পারে। আর রান্নাঘরে আগুন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। 


img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।