হাজারো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিলেন আসলাম উদ্দিন
হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন লন্ডনের সাধারণ মানুষের প্রিয় মুখ ও ইসলামি আন্দোলনের একজন নিবেদিতপ্রাণ আসলাম উদ্দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বাদ জোহর ইস্ট লন্ডন মসজিদে জানাযার নামাজের মাধ্যমে হাজারোলন্ডনবাসী শেষ বিদায় জানালেন লন্ডনের সামাজিক রাজনৈতিক এবং ইসলামিক অঙ্গনের এক পরিচিত মুখ আসলাম উদ্দিনকে।
মরহুমের সালাতুল জানাজার ঈমামতি করেন তার সুযোগ্য পুত্র হানিফ। জানাজা শেষে তাকে চিগউয়েল গার্ডেন অফ পিছ কবরস্থানে দাফন করা হয়। সেখানে শতশত তার শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন কবরে এক মোঠ মাটি দেয়ার জন্য।
তিনি বিয়ানিবাজার উপজেলার মুল্লাপুর ইউনিয়নের মুল্লাগ্রামের মরহুম নুর উদ্দিনের বড় ছেলে। গত এক বছর যাবত মোটর নিউরন ডিজিজ (MNDs) রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়শুক্রবার সকাল ৯,১৫ দিকে তিনি পূর্ব লন্ডনের বো এলাকায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক। স্ত্রী সন্তানছাড়া ও অনেক আত্নীয় স্বজন রেখে গেছেন।
১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েলে লন্ডনের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমেআসে। তিনি সারাজীবন একজন দায়ী ইলাল্লাহর দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিরলসভাবে। তিনি ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের মেম্বার ও কাউন্সিল অফ মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটেস এর কোঅর্ডিনেটার। নন মুসলিমদের জন্য দাওয়া প্রজেক্ট ইসলামিক এওয়ারনেস প্রজেক্ট এর ওয়ার্কার।এছাড়াও ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ, ইয়াং মুসলিম অর্গানাইজেশন ইউকে, মসজিদ টিএইচ কা\"কানেক্টিং কমিউনিটি\" এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সম্প্রতি \"ফ্রেন্ডস ফর লাইফ এআইডি\" এরপ্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক এবং আকর্ষণীয় ও মনমুগ্ধকর নেতা, নীতি ও আদর্শের মাধ্যমেতৈরি করেছেন শত শত নেতাকর্মী।কোন পদ পদবী বা লোভ তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। শরীরে অসুখ নিয়ে ও সংগঠনের যে কোন প্রোগামে থেকেছেন অগ্রনী ভুমিকায়। অসুখকে অড়ালে রেখেকাজ করেছেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তার জীবনের বেশিরভাগ সময় ইসলামিক দাওয়াহ ও দাতব্য কাজে নিবেদিত ছিলেন।
আসলাম উদ্দিনের জানাযায় অংশ নেন তার নিজের সংগঠন মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন ও কাউন্সিল অফ মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটেস ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। টাওয়ার হ্যামলেটে কাউন্সিলর পঞ্চাশের উর্ধে মসজিদের মুসল্লী, ইসলামিক সংগঠন সামাজিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক শ্রেণীপেশার মানুষ জানাযায় অংশ নেন।