img

সম্পর্কে বিশ্বাস ফেরাবেন কীভাবে

প্রকাশিত :  ১৫:২৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কে বিশ্বাস ফেরাবেন কীভাবে

বিশ্বাস যেকোন সম্পর্কের ভিত।  নানা কারণে সেই বিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। কারও কোনো কথা, আচরণ বা কার্যকলাপের কারণে সাধারণত বিশ্বাস নষ্ট হয়। কথায় আছে, একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে তা আবারও তৈরি করা বেশ কঠিন। এজন্য উভয় পক্ষেরই ধৈর্য, বোঝাপড়া এবং প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। সম্পর্কে আবারও বিশ্বাস তৈরি করতে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে। তবে তা ফেরানো সম্ভব। যদি আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কখনও বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়, তাহলে থেরাপিস্ট জর্ডান গ্রিনের কিছু কথা অনুসরণ করতে পারেন।  যেমন-

খোলামেলা আলোচনা:  বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে সাধারণত দুই জন মানুষের বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। সেক্ষেত্রে একসাথে বসে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। খোলামেলা আলোচনা সমস্যার মুল খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। তাহলে তা সমাধান করাও সহজ হবে। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

ক্ষমা চাওয়া: সম্পর্কের মধ্যে পুনরায় আস্থা অর্জনের মুল শর্ত হলো ভুল স্বীকার করা। তাহলে তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে। নিজের ভুল আচরণের জন্য সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চান এবং একই ভুল আর না করার প্রতিশ্রুতি দিন। 

স্বচ্ছ হোন: সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সততা এবং স্বচ্ছতা প্রয়োজন – বিশেষ করে বিশ্বাস একবার ভেঙে যাওয়ার পরে তা আরো জরুরি। সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকলে ভুল বোঝাবুঝি কম হবে। 

প্রতিশ্রুতি বজায় রাখুন: আমরা যখন কিছু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, তখন তা মেনে চলা নিশ্চিত করা উচিত। যখন কথা এবং কাজ মিলে যায় তখন তা বিশ্বাস এবং নির্ভরতা তৈরি করতে সহায়তা করে।

পেশাদার কারও সাহায্য নিন: যখন কোনও সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য কিছুই কার্যকর বলে মনে হয় না, তখন সমাধান খুঁজে পেতে পেশাদার কারও  সাহায্য চাইতে পারেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।