img

ত্বকের যত্নে আটার গুণাগুণ

প্রকাশিত :  ১৯:২৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ত্বকের যত্নে আটার গুণাগুণ

আটার অনেক গুণ। ওজন কমাতে যেমন আটার রুটি সাহায্য করে তেমনই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতেও সাহায্য করে আটা।  আটার মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, সিলিকল, ক্লোরিন, সালফার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার আয়োডিন। এছাড়াও আটার মধ্যে আছে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন ও খনিজ লবণ। তবে আটা কিন্তু রূপচর্চার কাজেও খুব ভালো। 

ময়দা, চালের গুঁড়ি দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়েছেন। কিন্তু আটা দিয়ে কি কখনও বানিয়েছেন? যদি না বানিয়ে থাকেন তাহলে আটা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই ফেসপ্যাক। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন ফেসপ্যাক: 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ৩ চামচ আটা, ৩ চামচ গরম দুধ, ২ চামচ মধু আর ২ চামচ গোলাপ জল একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ ঠান্ডা হলে ভালো করে লাগিয়ে নিন মুখে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে কিন্তু মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায় ও ত্বক ভালো থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন আটা আর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো শরীরে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এতে কিন্তু যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য আটা, মধু, টক দই, কাঁচা হলুদ আর কফি একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এই প্যাক বানান। এবার তা মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এতে মুখ ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয় ও সারাদিন সতেজতা বজায় থাকে।

মিশ্র ত্বকের জন্য  গোলাপের পাপড়ি আর কমলালেবুর খোসা পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার গরম ৪ চামচ দুধের সঙ্গে ২ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণের সঙ্গে গোলাপ আর কমলালেবুর ফোটানো পানি মিশিয়ে নিন। এবার ৪ চামচ আটা মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে দিন। এতে কিন্তু ত্বক খুব ভালো থাকে।

আটার সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চোখের আশেপাশে লাগিয়ে নিন। এতে চোখের নীচের কালো দাগ দূর হবে। রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করতে দুধের সঙ্গে আটা মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ফেস পাউডার হিসেবে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন আটা। যাদের অয়েলি স্কিন তাদের জন্য খুব ভালো। দীর্ঘক্ষণ মুখে কোনো অয়েলি ভাব থাকবে না। মরা চামড়া জমে ত্বক বিবর্ণ হয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আটার সাহায্যে বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। মধু অথবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে আটা মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্ক্রাব। সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলেই হবে।

শসার রস ও লেবুর রসের সঙ্গে আটা মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি ত্বককে রাখবে সজীব ও টানটান। এছাড়াও আটা, দুধ, মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন গোসলের আগে লাগিয়ে নিন। ১ মিনিট রেখে ঘষে তুলে দিন। দেখবেন মুখে ফেসিয়ালের মতো গ্লো আসবে।


img

বন্যা পরবর্তী সময়ে যা করা উচিত

প্রকাশিত :  ১০:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তলিয়ে গেছে দেশের ১১ থেকে ১৩টি জেলা আকস্মিক বন্যায়। বন্যা-কালীন সময়ে ত্রাণ ও দুর্গতদের সাহায্য গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন ও কিছু করণীয় থাকে। 

আভাস পেলে যা করবেন

আকস্মিক বন্যার শঙ্কা অনেক বেড়েছে। তাই বন্যার আভাস পেলে মুড়ি, চিড়া, গুড়, চিনি বা শুকনো জাতীয় খাবার সংরক্ষণ করা ভালো। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চার ব্যবস্থা করা ভালো। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য চুলা ও রান্না করার জন্য শুকনো জ্বালানির ব্যবস্থা রাখতে পারেন। বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীর দিকে বিশেষ নজর রাখুন। এছাড়া টাকা, জমির দলিল, শিক্ষা সনদসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে রাখুন। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংরক্ষণে রাখুন। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না, সাঁতার কাটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না। কারণ ৬ ইঞ্চি পানির স্তরেও আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন।

ডায়রিয়া হলে

বন্যার সময় ডায়রিয়া বেশি দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন ও শরীরে লবণ পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

বন্যার সময় চর্মরোগ

বন্যার পানি গোসল বা গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা এ পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এ পানির সংস্পর্শে বিভিন্ন চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে-পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে।

টিউবওয়েল ডুবে গেলে

যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ডুবে গেছে, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এ কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন।

বাড়ি ফিরলে

অনুমতি দিলেই বা নিরাপদ বলার পরেই বাড়ি ফিরবেন। একটি সারভাইভাল কিট প্যাক করুন। সেখানে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নিন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে পোশাক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন।  জরুরি তথ্যের জন্য রেডিও, স্থানীয় পরিবর্তনকারী সিস্টেম বা সরকারী নির্দেশাবলী শুনুন। বাড়িতে ঢোকার আগে দেখে নিন কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে কি না। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিদর্শন করার আগে পাওয়ার চালু করবেন না। সাপ ও বিভিন্ন প্রাণী আপনার বাড়িতে থাকতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ও বুট পরুন। বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও শুকিয়ে নিন।