img

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৬:২১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগে ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের নানা কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব তথ্যই ভালো করে দেখান। যারা স্যাংকশন দেয়, তারা ওটাও দেখবে, একদফা দেখবে না। শুরুটা কারা করল, সেটা আগে দেখতে হবে। দেখে পরে স্যাংকশন দেবে। আর যদি আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এটা বলছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও তো সমস্যা আছে। আমরা তো দেখতে পারছি, তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কি করছে। আমরা তো তাও করিনি।

কারো শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে, কেউ আমাদের হাতে তুলে দেয়নি। কাজেই নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হোক- সেটা আমরাই চাই। আজকের নিষেজ্ঞার কথা বিরোধী দলসহই বলা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ক্ষমতার বদলে যদি কেউ অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের সাজা পেতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। কে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের হাল ধরবে সেটা ঠিক করে দেবে দেশের জনগণ ও দল আওয়ামী লীগ।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করুন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের কাছে তুলে ধরবেন। কেননা, তাদের কাছে অভিযোগ করেই একটা গোষ্ঠী দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

img

বুধবার হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক

প্রকাশিত :  ১৯:৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা মহানগরীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের জেরে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলম।

আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টায় এই কর্মসূচি পালন করবেন তারা। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।

কমেন্ট বক্সে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, যে লীগের হাতে হাজার হাজার ছাত্র ও নাগরিকের রক্ত লেগে আছে। দুই মাস না যেতেই তাদের কীভাবে দুঃসাহস হয় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার?

একই রকম স্ট্যটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, এই খুনি হাসিনার দালালদের কারণেই রাষ্ট্র ঠিকমতো ফাংশন করতে পারছে না। এদের উৎখাত না করা পর্যন্ত দেশ সামনে আগাতে পারে না, পারবে না।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তারা \'শেখ হাসিনার দরকার, বারবার দরকার\'; শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই\'; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু\'; সহ নানা স্লোগান দেন। ২০-২৫ আইনজীবী এই বিক্ষোভে অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভ থেকে একজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক খান বলেন, আদালতের প্রাঙ্গণের মিছিল থেকে নাহিদ হোসেন নামে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের এক আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। তবে অন্য বিক্ষোভকারীরা পালিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি।