img

ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কায় বিদ্যুৎ খাতের তিন কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত :  ০৯:২০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কায় বিদ্যুৎ খাতের তিন কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজরে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ৩ কোম্পানি আগের অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) মুনাফায় ছিল। কিন্তু সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিগুলো লোকসানে চলে গেছে। যার ফলে কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীরা ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

লোকসানে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো এবছর ডিভিডেন্ড দিতে পারবে কি-না বা ডিভিডেন্ড দিবে কি-না, তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধার মধ্যে পড়েছেন। যদি ডিভিডেন্ড দেয়-ও, তাহলে আগের বছরের মতো ডিভিডেন্ড দিবে কি-না, তা নিয়েও তারা সন্দিহান রয়েছেন।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ডেসকো ও পাওয়ারগ্রীড লিমিটেড। যেগুলোর শেয়ার গত এক বছর যাবত ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান ডেসকো ও পাওয়ারগ্রীডের পরিশোধিত মূধনের কয়েকগুণ রিজার্ভ রয়েছে। কোম্পানি দুটির বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ন্যুনতম ১০ শতাংশ করে ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে।

অন্যদিকে, বারাকা পতেঙ্গার রিজার্ভ পরিশোধিত মূলধনের কম। কোম্পানিটি ৩২ টাকা কাট-অফ প্রাইস নিয়ে ২০২১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। পরের বছর ২০২২ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা।

আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৭৩ কোটি টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ১৩১ কোটি টাকা।

ডেসকো

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) ডেসকোর শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫৬ পয়সা।

আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ২ হাজার ২২৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

পাওয়ারগ্রীড

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) পাওয়ারগ্রীডের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৯২ পয়সা।

আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ১ হাজার ৬৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

img

কমেছে চাল-পেঁয়াজ-আলুর দাম, স্বস্তিতে ক্রেতারা

প্রকাশিত :  ০৪:০৯, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে। ধরনভেদে প্রতি কেজি চালে ১-৪ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। এর পাশাপাশি সামান্য দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। তবে মুরগির দামে কিছুটা বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন পাইকারি বিক্রির স্থান বা মোকামগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে খুচরা পর্যায়েও কিছুটা দাম কমছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল মার্কেট- এই তিন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত দেড় মাসের মধ্যে ধরনভেদে চালের দাম কেজিতে ৮-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। আমনের ভরা মৌসুমেও হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ। এরপর সরকার চালের দাম কমাতে আমদানিসহ কিছু উদ্যোগ নেয়। এর প্রভাবে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমেছে।

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।

মিলমালিক ও পাইকারেরা বলছেন, চালের আমদানি বাড়ানো এবং এসব চাল গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় দাম কমতির দিকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রভাবও পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ১-৪ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। যেমন মাঝারি মানের ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৬২-৬৫ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। আবার মোটা বলে পরিচিত স্বর্ণা চালের দাম ৩ টাকা কমে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ঢাকার সব খুচরা বাজারে কম দামের চাল বিক্রি শুরু হয়নি।

এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম। খুচরা পর্যায়ে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই দাম আরও ৫ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দামও কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে। এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকায়। আগের সপ্তাহে এই দাম ছিল ২০-২৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে আলু ও পেঁয়াজ আরও ৫ টাকা বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে এখন প্রতি কেজি রসুনের দাম ২২০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন-চার দিনে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম কেজিতে ১০ টাকা কম ছিল। অন্যদিকে এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৮০-৩১০ টাকা। তবে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।