img

বিধবার ঘর বানিয়ে দিতে অ্যানি খানের উদ্যোগ

প্রকাশিত :  ১২:২৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিধবার ঘর বানিয়ে দিতে অ্যানি খানের উদ্যোগ

পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জননী এক বিধবাকে সাহায্যের জন্য অনুরাগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামের টানে অভিনয় জগতকে বিদায় জানানো অভিনেত্রী অ্যানি খান।

রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে অ্যানি খান লেখেন, আমরা অনেকেই অনেকভাবে টাকা-পয়সা খরচ করে থাকি। নিজেদের খরচ থেকে একটু সেভিংস করে যদি কারও উপকার হয় তাতে মন্দ কি!

তিনি জানান, একজন নারীর স্বামী মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেটা ক্যানসারে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে খুব বিপদেই আছেন তিনি। 

অ্যানি আরও জানান, বৃষ্টির সময় ওই বিধবার ঘর ভেঙে গেছে। এখন পানি পড়ে ঘরে। আপনার যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন উনাকে বা ওনার ঘরের জন্য টিন কিনে দিতে চান, দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। 

ওই বিধবাকে সাহায্যের জন্য ১৮ হাজার টাকা উঠেছে জানিয়ে পরদিন সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার একটি স্ট্যাটাস দেন অ্যানি খান। তিনি জানান, ২০০ মানুষ ৫০০ টাকা করে দিলেও আপাতত বিধবার ঘরের কাজটা শেষ করে দিতে পারতাম। 

অ্যানি বলেন, সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আছে আমার পেজে। এর মধ্যে কি ২০০ মানুষ ৫০০ টাকা করে দিতে পারবেন না? আল্লাহর খুশির জন্য চলুন আমরা সবাই মিলে এই নারীকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার টাকা উঠেছে। তাকে এক লাখ টাকার মতো সহযোগিতার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওমরাহ পালনের পর থেকেই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন অ্যানি খান। ২০২০ সালের মার্চে অভিনয় জগত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। 

এরপর থেকেই তাকে আর অভিনয়ে দেখা যায়নি। পোশাকেও এনেছেন পরিবর্তন। পরেন বোরকা ও হিজাব। অভিনয় জগতকে বিদায় জানানোর পর অ্যানি খান ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অনলাইনেই তার ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। পাশাপাশি তিনি ধর্ম-কর্ম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়।


 

বাবা-মাকে নির্যাতন

img

শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর ১ম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। বাবা ও মাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। 

শাওনের দ্বিতীয় মা নিশি ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করেন। তারা বলেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। শাওন, ডিবি হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালতের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিশি ইসলাম বলেন, আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। আমাদেরকে মারধর করেছে সে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে নিশির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে। এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। এ সময় শাওন ও তার অন্যান্য ভাই বোনেরা ক্ষম