img

দাফনের’ দুই দিন পর ফোন করে গৃহবধূ বললেন, ‘আমি বেঁচে আছি’

প্রকাশিত :  ১৪:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দাফনের’ দুই দিন পর ফোন করে গৃহবধূ বললেন, ‘আমি বেঁচে আছি’

শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন গৃহবধূ হাসি বেগম (২৪)। নিখোঁজের পর তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও পাল্টা অভিযোগ করেন, ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশ এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করলে লাশটি মেয়ের বলে শনাক্ত করেন গৃহবধূর মা-বাবা। লাশ দাফনের দুই দিন পর মা-বাবাকে ফোন করে জীবিত থাকার কথা জানান হাসি বেগম। পরে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। গৃহবধূ হাসি বেগম সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মোতালেব শেখের স্ত্রী। ৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল সোমবার হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে সদরপুরে নিয়ে আসে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট বছর আগে মোতালেব শেখের সঙ্গে হাসি বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের সাত বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। ৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন হাসি বেগম। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর হাসি বেগমের বাবা শেখ হাবিবুর রহমান সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন জামাতা মোতালেব শেখ।

শ্বশুরের অভিযোগের পর ১৪ সেপ্টেম্বর হাসি বেগমের স্বামী মোতালেব শেখ বাদী হয়ে সদরপুর থানায় পাল্টা আরেকটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসি বেগম টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।

২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সদরপুর উপজেলা–সংলগ্ন ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি নিখোঁজ হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তাঁর মা সালমা বেগম। এরপর ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তাঁর মা-বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি’। এ ঘটনার পর ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সদরপুর থানার উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর নিয়ে আসেন।

জানতে চাইলে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগম একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মা-বাবা লাশটি শনাক্ত করতে ভুল করেছিলেন। নান্দাইল এলাকা থেকে হাসি বেগমকে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১১০৮

প্রকাশিত :  ১৬:৪০, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৪, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আটজন মারা গেছেন । এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে।

এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭৪, খুলনা বিভাগে ১২২ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০, রংপুর বিভাগে ১৮ এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ১১৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৪ হাজার ৭৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২২৩ জনের। এছাড়া গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।