img

ইউক্রেন যুদ্ধে জন্ম নিচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা, তাতে জয়ী হবে কে?

প্রকাশিত :  ০৫:৫৮, ০২ অক্টোবর ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধে জন্ম নিচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা, তাতে জয়ী হবে কে?

নাটালি টচি

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে ৩০টির বেশি দেশ। পুতিনের রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতেও অস্বীকৃতি জানানো দেশের সংখ্যাও অনেক। এ দুটি ঘটনা ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর জন্য অপ্রীতিকর বিস্ময়। বিশ্বে মাত্র ৪০টি দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর অর্থ হলো, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে জি-২০ সম্মেলন ঘিরে ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে ভূরাজনৈতিক বিভক্তি আবার খোলাখুলিভাবে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু শেষমেশ একটা মুখ রক্ষার বিবৃতির ব্যাপারে ঐকমত্য আসে। সেই বিবৃতিতে রাশিয়ার আগ্রাসন উল্লেখ না করে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করা হয়।

এর মানে এই নয় যে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে বসা দেশগুলোর সবাই রাশিয়ার আগ্রাসনকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তেমনটা নয়। ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার প্রতি তাদের সমর্থন নেই, তা-ও নয়। জি-২০ সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে খুব স্পষ্ট করে কোনো দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বলপ্রয়োগকে খারিজ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক দক্ষিণ ইউক্রেন যুদ্ধকে ইউরোপীয় যুদ্ধ বলে বিবেচনা করে। এ যুদ্ধে তাদের কোনো অংশীদারত্ব নেই বলে মনে করে। যদিও এ যুদ্ধের অবধারিত ধাক্কা হিসেবে খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে দেশগুলো। এর অর্থ হলো, অন্যায্য পথে হলেও যুদ্ধ যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেটাই চায় তারা। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তারা মূল্য চুকাতে রাজি নয়।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গ্লোবাল টাউন হল সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। গ্লোবাল নর্থের (বৈশ্বিক উত্তর) প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে একজন আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম আমি। গ্লোবাল নর্থ (বৈশ্বিক উত্তর) এবং গ্লোবাল সাউথের (বৈশ্বিক দক্ষিণ) মধ্যে ভেঙে পড়া সেতু কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা যায়, এ বিষয়ে বিতর্ক হয়। সেই বিতর্কে আমার চোখ খুলে গেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্বকে বাধ্য করেছে বৈশ্বিক দক্ষিণের প্রতি তাদের যে উপেক্ষার দৃষ্টি, সেটা পাল্টাতে। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও বিরক্তিকে সামনে নিয়ে এসেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা ঔপনিবেশিক কিংবা নয়া ঔপনিবেশিক আচরণ কিংবা মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী আচরণের কারণেও হতে পারে।

সংলাপে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইউরোপ ও আমেরিকার উদ্দেশে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধির কণ্ঠেও ছিল সমালোচনার সুর। আমাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বৈশ্বিক দক্ষিণে এখন কী কারণে পশ্চিম বৃহত্তর স্বার্থ খুঁজে পাবে?’ এই প্রশ্নের আকস্মিকতা আমাকে ভাবতে বাধ্য করে। তাঁদের করা প্রশ্নটি সঠিক।

গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণ ধারণাটি হঠাৎ করেই পশ্চিমের যেকোনো জমায়েতেই খুব বেশি শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণেও এই ধারণার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল এবং সাবেক উপনিবেশিত দেশগুলোতে এই ধারণার প্রচলন বাড়ছেই। 

এর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিধর চীন ও ভারত এবং মধ্যম সারির দেশ তুরস্ক, ব্রাজিল ও সৌদি আরব এবং গরিব দেশগুলোর মধ্যে যারা নিজেদের আওয়াজ তুলে ধরতে চায়, সবাই রয়েছে। এই দেশগুলো মনে করে, পশ্চিমা ছাঁচে অথবা পশ্চিমাদের নির্ধারণ করে দেওয়া কথার বাইরে বেরিয়ে তাদের স্বাধীন আওয়াজ শোনা উচিত। তারা তাদের আওয়াজ শোনানোর জন্য সংস্থা বানাচ্ছে। সেই সংস্থার সম্প্রসারণও করছে। সম্প্রতি ব্রিকসের ক্ষেত্রে আমরা যেটা দেখলাম। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোটটিতে নতুন সদস্য হিসেবে আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অন্তর্ভুক্ত করছে।

এখন শক্তিশালী অবস্থান নিচ্ছে তারা। ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস নাইজার অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের মতো ব্যবস্থা (বাস্তবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি) নেওয়ার কথা বলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, সেনেগাল, রিপাবলিক অব কঙ্গো, জাম্বিয়া, উগান্ডার সরকার-রাষ্ট্রপ্রধানসহ আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা কিয়েভ থেকে মস্কো উড়ে গেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার কথা বলতে। সৌদি আরব জেদ্দায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে কি নীতি হবে, তা ঠিক করার জন্য।

বৈশ্বিক দক্ষিণের প্রতি পশ্চিমারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, এ কারণে যে বৈশ্বিক দক্ষিণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে এখন গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় গবেষক অমিতাভ আচার্য বিষয়টি সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ‘গরিব দক্ষিণ’-এর সঙ্গে ‘ক্ষমতাবান দক্ষিণ’-এর সুনির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ক্ষমতাবান দক্ষিণ  বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে আবির্ভূত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে, এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৭০ শতাংশ আসবে এশিয়া থেকে। ভারত ও চীন—দুই দেশ মিলে এর অর্ধেকটা অর্জন করবে।

কূটনীতি, লেনদেনের সম্পর্ক ও বিভিন্ন সংস্থায় ‘বহুপক্ষীয়’ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ‘ক্ষমতাশালী দক্ষিণ’ তাদের ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে ভারতের কথা বলা যায়। চীনের নেতৃত্বে তারা ব্রিকসের সদস্য আবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াডেরও সদস্য (জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত)। বৈশ্বিক দক্ষিণের অন্যতম নেতৃত্ব হিসেবে, জি-২০ সম্মেলনে ভারত এবার আফ্রিকান ইউনিয়নকে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এ পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই জি-২০-কে আরও বড় অন্তর্ভুক্তিমূলকতা দিয়েছে।

সৌদি আরব ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় অভিযোগ থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা নিরাপত্তা অংশীদারত্ব শক্তিশালী করেছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। তুরস্ক ন্যাটোর মিত্রদেশ। এরপরও তারা রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্বকে বাধ্য করেছে বৈশ্বিক দক্ষিণের প্রতি তাদের যে উপেক্ষার দৃষ্টি, সেটা পাল্টাতে। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও বিরক্তিকে সামনে নিয়ে এসেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা ঔপনিবেশিক কিংবা নয়া ঔপনিবেশিক আচরণ কিংবা মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী আচরণের কারণেও হতে পারে।


নাটালি টচি ইতালিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক


img

বাংলাদেশ: শান্তি ও সম্ভাবনার ঠিকানা

প্রকাশিত :  ১৯:১৬, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রেজুয়ান আহম্মেদ

জীবনের প্রয়োজনে, কাজের তাগিদে নানা দেশে ঘুরতে হয়েছে আমাকে— কখনো কর্মসূত্রে, কখনো নতুন কিছু শেখার তাগিদে, কখনো আবার উন্নত জীবনের হাতছানিতে। প্যারিসের ঝলমলে সন্ধ্যা দেখেছি, নিউইয়র্কের আকাশচুম্বী ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে বিস্মিত হয়েছি, দুবাইয়ের মরুপ্রান্তরে ভবিষ্যতের শহর গড়ে ওঠা দেখেছি। কিন্তু দিনের শেষে, যখন একটু প্রশান্তির জন্য মন আকুল হয়েছে, তখন বুঝেছি— আমার আসল ঠিকানা একটাই, আমার বাংলাদেশ!

বিদেশের শহরগুলো নিঃসন্দেহে সাজানো-গোছানো, আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ। কিন্তু সেখানকার ব্যস্ততা মানুষকে যেন যন্ত্রে পরিণত করে দেয়। কেউ কারও খোঁজ রাখে না, পাশের ফ্ল্যাটের মানুষও বছরের পর বছর অপরিচিত থেকে যায়। কাজের চাপে হাসির সময় নেই, আত্মীয়তার বন্ধনগুলো যেন শেকড়ছেঁড়া গাছের মতো শুকিয়ে যায়। অথচ বাংলাদেশ! এখানেই সকালবেলা চায়ের দোকানে পরিচিত মুখের সঙ্গে দেখা হয়, বিকেলে পাড়ার আড্ডায় হাসির রোল ওঠে, সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করে। জীবন এখানে এখনো সহজ, হৃদয়ের বন্ধনগুলো এখনো অটুট।

বিদেশে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে— অর্থ উপার্জনই কি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য? বিশাল বেতনের চাকরি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি— এগুলোর মোহ শুরুতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি হয়, আসল সুখ অন্য কোথাও।

বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে এখনো সকালে ঘুম ভাঙে পাখির কিচিরমিচিরে। শীতের ভোরে মাঠের মাঝখান দিয়ে হাঁটার যে প্রশান্তি, তা বিশ্বের কোনো উন্নত শহর দিতে পারে না। শহরের ব্যস্ত জীবনেও মানুষ এখনো একে অপরের খোঁজ রাখে, বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ায়। এমন সম্পর্কের উষ্ণতা কি অন্য কোথাও পাওয়া যায়?

বিদেশে যখন হুট করে বৃষ্টি নামে, তখন জানালা দিয়ে তাকিয়ে মনে পড়ে আমার দেশের বর্ষা! আকাশজুড়ে কালো মেঘের খেলা, টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ, ভেজা বাতাসের স্নিগ্ধ ছোঁয়া— এসব বিদেশে পাওয়া সম্ভব নয়।

অনেকে ভাবে, উন্নতির জন্য বিদেশে যেতেই হবে। সত্যিই কি তাই? বাংলাদেশেই এখন অগণিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়, ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, স্টার্টআপ— সবখানেই বাংলাদেশিরা এগিয়ে যাচ্ছে।

একসময় বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আমরা অপেক্ষা করতাম, আর এখন? বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উদগ্রীব। কারণ আমাদের দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, বাণিজ্য, শিল্প— সবখানেই বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

বিদেশে গিয়ে কেউ হয়তো কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন, কিন্তু সেই টাকা দেশে পাঠানোর পরও সেখানে জীবনযাপন করা সহজ হয় না। অথচ, একই পরিশ্রম যদি বাংলাদেশেই করা যায়, তাহলে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানো সম্ভব।

বিদেশের চাকরির নিয়মকানুন এত কঠোর যে ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা প্রায় থাকে না বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশে? এখানে নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ আছে, উদ্যোক্তা হয়ে কিছু গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে।

অনেকে ভাবে, বিদেশ মানেই বেশি আয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বাংলাদেশেই সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করলে তার চেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব। দেশের বাজার ক্রমশ বড় হচ্ছে, মানুষের চাহিদা বাড়ছে, নতুন নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাহলে কেন আমরা নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে ছুটব?

পৃথিবীর যত দেশেই যাই না কেন, দিনের শেষে মনে হয়— বাংলাদেশই আমার সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন। শুধু অর্থের জন্য, উন্নতির জন্য, স্বপ্ন পূরণের জন্য বিদেশে যেতে হবে— এই ধারণা বদলানোর সময় এসেছে। আমাদের দেশেই সব সুযোগ আছে, আছে শান্তি, আছে ভালোবাসা।

আমি বহু দেশে ঘুরেছি, নানা সংস্কৃতি দেখেছি, আধুনিক জীবনের স্বাদ পেয়েছি। কিন্তু কোথাও বাংলাদেশের মতো প্রাণের উচ্ছ্বাস পাইনি, পাইনি মাটির টান। তাই বারবার ফিরে আসতে চাই এই পরিচিত আকাশের নিচে, আমার গ্রামবাংলার সবুজ মাটিতে, আমার শহরের কোলাহলে। কারণ, এটাই আমার চিরন্তন ঠিকানা।

রেজুয়ান আহম্মেদ: কলামিস্ট, বিশ্লেষক; সম্পাদক অর্থনীতি ডটকম

মতামত এর আরও খবর