মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কী বললেন ডিএমপি কমিশনার
সম্প্রতি ভিসানীতি আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে নানামহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ অবস্থায় ভিসানীতি নিয়ে চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (২ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন হাবিবুর রহমান। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসলেন তিনি।
মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান বলেন, ভিসানীতির দায় ব্যক্তির, বাহিনীর নয়। মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে ডিএমপি চিন্তা করে না, এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংগঠনের বিষয় নয়।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।
ডিএমপির সব থানায় সেবার মান বাড়ানোর জন্য ‘মেসেজ টু কমিশনার’ চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে সেবা না পেলে যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এ ছাড়া ডিবিতে গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি তাকে জানাতে পারবেন।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ট্র্যাডিশনাল ক্রাইম থেকে ডিএমপির ক্রাইমের ধরন আলাদা। নতুন ধরনের ক্রাইমের অভিযোগ আসছে ডিএমপিতে। এর বড় কারণ প্রযুক্তি। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় ডিএমপি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। ডিএমপির দক্ষতা ও যোগ্যতা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, থানায় এসে যেন কেউ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে না যান সে জন্য থানায় সব পুলিশের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।