img

আসছে সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ওয়াই-ফাই ৭

প্রকাশিত :  ০৬:৩০, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

আসছে সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ওয়াই-ফাই ৭

তারহীন ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির নতুন সংস্করণ ওয়াই-ফাই ৭। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের চালু করা সর্বশেষ ওয়াই-ফাই মান এটি। ২০২৪ সালের শেষ দিকে ওয়াই-ফাই ৭ বাজারে আসার কথা। গতি এবং কার্যক্ষমতার দিক থেকে ওয়াই-ফাই ৭ হবে সবচেয়ে উন্নত। এর সর্বোচ্চ ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩০ গিগাবাইট (জিবিপিএস) পর্যন্ত হতে পারে, যা এখনকার ওয়াই-ফাই ৬ প্রযুক্তির চেয়ে ৩ গুণ বেশি।


ওয়াই-ফাই ৭-এর বৈশিষ্ট্য

মানসালফ্রিকোয়েন্সিসর্বোচ্চ গতিবিস্তৃতি (রেঞ্জ)গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
ওয়াই-ফাই-১১৯৯৭২.৪ গিগাহার্টজ২ এমবিপিএস২০ মিটার (ঘরে)প্রথম ওয়াই-ফাই মান (আইইইই ৮০২.১১)
ওয়াই-ফাই-২১৯৯৯২.৪ গিগাহার্টজ১১ এমবিপিএস৩৫ মিটার (ঘরে)উচ্চতর ডেটা রেট চালু করা হয়েছিল
ওয়াই-ফাই-৩২০০৩২.৪ গিগাহার্টজ৫৪ এমবিপিএস৫০ মিটার (ঘরে)মিমো ব্যবহার করা হয়েছিল
ওয়াই-ফাই-৪২০০৯২.৪ ও ৫ গিগাহার্টজ৬০০ এমবিপিএস৭০ মিটার (ঘরে)২.৪ ও ৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে কাজ করে
ওয়াই-ফাই-৫২০১৩৫ গিগাহার্টজ৩.৫ জিবিপিএস৯০ মিটার (ঘরে)এমইউ-মিমো, ২৫৬ কিউএএম মডিলেশন আছে
ওয়াই-ফাই-৬২০১৯২.৪ ও ৫ গিগাহার্টজ৯.৬ জিবিপিএস৯০ মিটার (ঘরে)ওএফডিএমএ, ১০২৪ কিউএএম, টিডব্লিউটি
ওয়াই-ফাই ৭২০২৪৫ ও ৬ গিগাহার্টজ৩০ জিবিপিএসপ্রকাশিত হয়নিঅন্তত ৩২০ মেগাহার্টজ চ্যানেল , মিমো ১০২৪, মাল্টি- লিংক অপারেশন

দ্রুতগতির ইন্টারনেট: ওয়াই-ফাই ৭ প্রযুক্তির গতি ওয়াই-ফাই ৬-এর চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি হবে। এর গতি  প্রতি সেকেন্ডে ৩০ গিগাবাইটের বেশি হতে পারে।

তথ্য আদান-প্রদানে বিলম্ব বা ল্যাটেন্সি: তথ্য আদান-প্রদানে ওয়াই-ফাই ৭-এর বিলম্ব হার বা ল্যাটেন্সি কম হবে। এই প্রযুক্তির ল্যাটেন্সি ১ মিলিসেকেন্ডের কম। ফলে তাৎক্ষণিক বা রিয়ালটাইম অ্যাপ্লিকেশন যেমন ভিডিও কল, গেমস ইত্যাদি অনেক ভালো কাজ করবে।

তরঙ্গ সমন্বয়: ওয়াই-ফাই ৭ প্রযুক্তি ৬ গিগাহার্টজের বেশি ৭.১২৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত নতুন তরঙ্গ ব্যবহার করবে। এর ফলে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদানের গতি বাড়বে ও ব্যতিচার (ইন্টারফেয়ারেন্স) কমবে।

মাল্টিপল-ইনপুট মাল্টিপল-আউটপুট (মিমো): এই সুবিধার কারণে একই সময়ে একাধিক যন্ত্রে তথ্য পাঠানো যাবে। এটি ১৬-৩২ অ্যানটেনা ব্যবহার করবে।

ব্যাটারি সঞ্চয়: ওয়াই-ফাই ৭ ব্যাটারি খরচ কম করবে। ফলে এর সঙ্গে তার ছাড়া যুক্ত যন্ত্রগুলোর ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়বে ও শক্তি কম খরচ হবে।

ওয়াই-ফাই ৭ হবে সাশ্রয়ী, দ্রুতগতির ও নিরাপদ। এটি আসার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

ওয়াই-ফাই ৭ যেসব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের হতে পারে

ওয়াই-ফাই এনক্রিপশন: এটি ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা তথ্যকে এনক্রিপ্ট করবে, যাতে অন্য কেউ তথ্যে প্রবেশ করতে পারে। ওয়াই-ফাই ৬-এ এটি ছিল না।

 প্রমাণীকরণ: ওয়াই-ফাই ৭-এর জন্য আরও শক্তিশালী দুই-স্তর প্রমাণীকরণ (টু স্টেপ অথেনটিকেশন) এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ধাপগুলো চালু করা হবে।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা: ম্যাক অ্যাড্রেস রেন্ডমাইজেশন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বাড়াবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা: ওয়াই-ফাই ৭ আগের সংস্করণের তুলনায় নিরাপত্তা উন্নত করতে ব্যাপক কাজ করছে। তবে এখনো এসবের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়নি। সময় বলে দেবে ওয়াই-ফাই ৭ নিরাপত্তায় কতটা কার্যকর হবে।



img

যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয় হাসিনার বিমান

প্রকাশিত :  ১১:৩০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতের দিল্লিতে যান তিনি। তাকে ভারতে পৌঁছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমান।

শেখ হাসিনা পালানোর এক মাস পর জানা গেল অবস্থান ও যাত্রাপথ গোপন রাখার জন্য তাকে বহনকারী ফ্লাইট এজেএক্স১৪৩১ বিমানটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রাখা হয়েছিল। হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি প্রথমে কলকাতার দিকে যায়। এরপর গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটির দিকে যাত্রা করে।

বিমানটি প্রথমে কলকাতার দিকে যায় কারণ এটি দ্রুত বাংলাদেশের আকাশসীমা ছাড়তে চেয়েছিল। ঢাকা-দিল্লির যে আকাশপথ রয়েছে সেটি দিয়ে গেলে বিমানটিকে রাজশাহীর উপর দিয়ে যেতে হতো। এতে করে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় বিমানটিকে আরও কয়েক মিনিট থাকতে হতো। শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে যাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট আগে বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট হিসেবে উড্ডয়ন করে। ওই সময়ই এটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে বিমানের অবস্থান, গন্তব্য, উচ্চতা, গতি এবং সয়ংক্রিয় জিওলোকেটরের তথ্য পাওয়া যায়। বিমানটি যখন পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি পৌঁছায় তখন এটির ট্রান্সপন্ডারটি চালু করা হয়।

অপরদিকে বিমানটির জিওলোকেটর চালু করা হয় ঢাকা-কলকাতা রুটের ‘বিইএমএকে’ ওয়েপয়েন্টে পৌঁছানোর পর। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিমানটির কোড নাম্বার দেয় ১৪৩১। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে প্রতিটি বিমানকে চার সংখ্যার এমন আলাদা একটি কোড দেওয়া হয়। এই কোডটি হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ট্রান্সপন্ডারে ম্যানুয়ালি যুক্ত করেন ক্রুরা।

যদিও বিমানটি সেকেন্ডারি রাডারে দৃশ্যমান ছিল না। কিন্তু পাইলটরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কলকাতা অঞ্চলের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন।

বিমানটিকে ২৪ হাজার ফুট উচ্চতায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। উড্ডয়নের পর শাহজালাল বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোলার হাসিনাকে বহনকারী বিমানের পাইলটকে একটি সতর্কতা বার্তাও পাঠান। এতে বলা হয়, একটি বিমান ঢাকার দিকে আসছে এবং এটি তাদের উপর আছে। আর বিমানটি ২৬ হাজার ফুট নিচে নেমে আসছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, হাসিনার বিমানটি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করার পরই এটিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা ঘাঁটিতে থাকা দুটি ড্যাসাল্ট রাফায়েল যুদ্ধবিমান এসকোর্ট দেয়।

ইন্ডিয়া টুডে আরও জানায়, হাসিনার বিমান ভারত সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় এটিকে অনুসরণ করা শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সাথে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য ইমিগ্রেশন করেননি। হাসিনার কাছে ওই সময় কূটনীতিক পাসপোর্ট এবং রেহানার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি হিন্দন ঘাঁটিতে অবতরণ করে। যা রাজধানী দিল্লি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমান হিন্দন ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর হাসিনাকে উত্তর প্রদেশের একটি নিরাপদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।