img

ইসরাইলি চরমপন্থীদের হত্যাতালিকায় আল-আকসা মসজিদের ইমামের নাম

প্রকাশিত :  ১৪:৩২, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৯, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

ইসরাইলি চরমপন্থীদের হত্যাতালিকায় আল-আকসা মসজিদের ইমামের নাম

আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ ইকরিমা সাবরিকে ইসরাইলি চরম ডানপন্থী ইহুদিদের টেলিগ্রাম হিটলিস্টে রাখা হয়েছে। এ হত্যাতালিকায় ইসরাইল, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনির নাম রয়েছে। খবর মিডল ইস্ট আই। 

ইসরাইলি টেলিগ্রাম চ্যানেলে তালিকায় রাখা ব্যক্তিদের হত্যা করার আহবান জানানো হয়েছে। তালিকায় রাখা ব্যক্তিদের নাৎসি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি এখনো অবাধে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে এবং তাদের এখনো নির্মূল করা হয়নি। 

আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ ইকরিমা সাবরির দলের প্রধান খালেদ জাবারকা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, সাবরি তার বিরুদ্ধে হুমকি সম্পর্কে সচেতন রয়েছেন। ইসরাইলি সরকারের অন্তর্গত উপাদানগুলোর সমর্থিত চরমপন্থী ইহুদি দলগুলো এ ধরনের উস্কানি দিচ্ছে। 

জাবারকা বলেন, সাবরি জর্ডান কিংডম, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক এবং জেরুজালেমের আরব কনস্যুলেটের সঙ্গে তাদের পরিস্থিতির তীব্রতা সম্পর্কে আপডেট করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে চরম ডানপন্থী ইহুদিদের উস্কানি স্বচ্ছ এবং বিপজ্জনক। প্রায় এক বছর ধরে শেখ ইকরিমা ক্রমাগত উস্কানির সম্মুখীন হয়েছেন, এ ইহুদি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো সরাসরি তাকে হত্যার প্ররোচনা দিয়ে যাচ্ছে। 

টেলিগ্রাম চ্যানেলে চিহ্নিত অন্যদের মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা এবং ছাত্রনেতা, সেইসঙ্গে হামাস এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সদস্য।

৮৫ বছর বয়সী শেখ ইকরাম সাবরি জেরুজালেমের সাবেক প্রধান মুফতি, সুপ্রিম ইসলামিক কাউন্সিলের প্রধান এবং আল-আকসার প্রধান ইমামদের একজন। তিনি ১৯৭০ এর দশকের শুরু থেকে সেখানে শুক্রবারের খুতবা দিয়েছেন এবং ইসরাইলি বাহিনী তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করেছে।

ইহুদিদের চ্যানেলে তাকে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার পরিকল্পনায় ইরান, হামাস এবং হিজবুল্লাহর নেতাদের সঙ্গে অংশীদার এবং জেরুজালেমের প্রধান নাৎসি হিসেবে বর্ণনা করেছে। এমনকি চ্যানেলটি সাবরির বাড়ির জন্য জিপিএস লিংক দিয়ে আক্রমণ করার আহ্বান জানায়।

img

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ শুরু

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শুরায়ী নিজামের বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব টঙ্গীর তুরাগ তীরে বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে এবার ২২ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন।  

আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তাবলিগ জামাতের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। 

ইজতেমার এ ধাপে যারা অংশগ্রহণ করবেন, তারা তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন ইতোমধ্যে। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইজতেমা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রোববার প্রথম পর্বের ইজতেমার দোয়া শেষ করেই তাবলীগের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ময়দানের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেন। আজ সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এই ধাপে অংশগ্রহণ করছে যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর, মুন্সিগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাংগাইল, পাবনা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ ও বান্দরবন জেলা। মোট ৪০টি খিত্তায় ঢাকার একাংশসহ ২২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন এতে।

জানা গেছে, মাঠে এরই মধ্যে ৭৬টি দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার ৫০ জন বিদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। ৩-৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা শেষে নিজ দেশে ফিরবেন তারা।

বিদেশি নাগরিকদের ভোগান্তি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে ফরেন টেন্টে সাধারণ ডায়েরির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপেও প্রথম ধাপের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।