img

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দক্ষ হচ্ছে দেশীয় প্রকৌশলীরা

প্রকাশিত :  ০৭:৫০, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দক্ষ হচ্ছে দেশীয় প্রকৌশলীরা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে কারিগরি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন রুশ নাগরিকেরা। তবে তাদের সাথে কাজ করছেন কয়েকশ’ প্রকৌশলীসহ প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি। দেশ-বিদেশে নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ ও সক্ষম হয়ে উঠছেন দেশীয় প্রকৌশলীরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর আশা, ভবিষ্যতে বাংলাদেশি জনবল দিয়েই রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা সম্ভব হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে নতুন মর্যাদায় পরিচিত করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তাই এটি কেবল বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নয়, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অন্যতম প্রতীক। 

নভেম্বর ২০১৭ এবং জুলাই ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই চলছে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রর প্রথম ইউনিটের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি বা ইউরেনিয়ামের একাধিক চালান দেশে এসেছে। যা ইতোমধ্যেই বুঝে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, পাশাপাশি একদল প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হয়েছে। রাশিয়ানদের সাথে কাজ করছেন কয়েকশ বাংলাদেশি প্রকৌশলী। যারা রাশিয়া গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, পাশাপাশি প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকে হয়ে উঠছেন দক্ষ ও সক্ষম।  

প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, “ইতিমধ্যে যে কমিশনিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বিভিন্ন সুইচ অপারেশনিং শুরু হয়েছে এগুলো শুধু রাশিয়ানরা করছেনা বাংলাদেশ-রাশিয়ানরা মিলে করছে।”

রাশিয়ান বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাংলাদেশীরাই পরিচালনা করছেন।

শৌকত আকবর বলেন, “শুধুমাত্র বিল্ডিং বানানো নয় জনবল তৈরি হয়েছে কিনা, ফুয়েল আসার পরে এই জনবল হ্যান্ডেল করতে পারছে কিনা- এসমস্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ছেলেরা দক্ষ হয়েছে, তারা সব কাজই করতে পারছে।”

ভবিষ্যতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশি প্রকৌশলীরাই রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করতে পারবেন। পাশাপাশি স্থানীয়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রাও। এছাড়া দক্ষ কর্মীরা বিদেশেও পাঠানো যাবে। এমনটা বলছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসামান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী  স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “আমার দেশের ছেলেমেয়েরা এখানে যারা কাজ করছে তারা কিন্তু রাশিয়ানদের কাছে পরীক্ষা দিয়ে গ্র্যাজুয়েশন পাচ্ছে। এখানেও তারা ‘এ’ গ্রেডের কর্মী হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এই প্রজেক্টের সঙ্গে মানুষও তৈরি হয়ে গেছে।”

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২০ হাজার বাংলাদেশি ও ৫ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন।

img

গুগলকে বিশ্বের মোট সম্পদের থেকেও বেশি জরিমানা করেছে রাশিয়া? কারণ জানলে অবাক হবেন

প্রকাশিত :  ০৭:৪২, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমনের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া চ্যালেনগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুগল। যে কারণে গুগলের প্লাটফর্ম ইউটিউবকে বড় অংকের আর্থিক জরিমানা করেছে রাশিয়া। যার পরিমাণ ২০ ডিসিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে ২ এর পর ৩৪টি শূন্য ধরে এই জরিমানার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থাৎ প্রায় ২০ ডিসিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২০ বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের সমান অর্থ দাবি করেছে রুশ সরকার। আর এই অঙ্কটি এত বড় যে, যা পুরো বিশ্ব অর্থনীতির আকারকেও ছাড়িয়ে যায়।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জিডিপি প্রায় ১১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের বাজারমূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশাল অংকের জরিমানার রায়ে দেশটির আদালত বলছে, ইউটিউবে রাশিয়ান রাষ্ট্র-সমর্থিত মিডিয়া আউটলেটগুলি নিষিদ্ধ করে গুগল জাতীয় সম্প্রচার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। জরিমানার ফলে এই চ্যানেলগুলি পুনরুদ্ধার হবে। তবে যদি প্ল্যাটফর্মটি ৯ মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তবে জরিমানা প্রতিদিন দ্বিগুণ হবে। 

এর আগে, গত ২০২২ সালের মার্চে ইউটিউব আরটি এবং স্পুটনিকসহ বেশ কয়েকটি রাশিয়ান রাষ্ট্র-চালিত চ্যানেলের উপর বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করে। সে সময় ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়া চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে ইউটিউব এই ধরনের নীতি প্রয়োগ করে। যার ফলে, বিশ্বব্যাপী এক হাজারটিরও বেশি চ্যানেল এবং ১৫ হাজারটিরও বেশি ভিডিও সরিয়ে দেয়।

এই অবস্থায় গুগল ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামে ১৭টি রাশিয়ান সম্প্রচারক। গুগলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারা। সেই সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে তাদের চ্যালেনগুলি পুনঃস্থাপনের দাবি জানায়। যার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এমন রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। যেখানে মোটা অংকের জরিমানা করা হয়েছে গুগল ও ইউটিউবকে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর