img

বাংলাদেশের বাগেরহাটে ৫০১ একটি প্রতিমা নিয়ে সিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা

প্রকাশিত :  ১৫:৩৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশের বাগেরহাটে ৫০১ একটি প্রতিমা নিয়ে সিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা

সংগ্রাম দত্ত: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামজুড়েই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আয়োজনে ভক্ত-দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ি পূজার আয়োজন। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপ খ্যাত এই বাগেরহাটের শিকদার বাড়ি।

প্রতিমার সংখ্যার দিক দিয়ে এই মন্ডপকে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্ডপ বলে দাবি করেন আয়োজকরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবে সিকদার বাড়িতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবার দুর্গাপূজায় সিকদার বাড়িতে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ৬৫ ফুট লম্বা কুম্ভকর্ণের ঘুমন্ত মূর্তি। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

সর্বপ্রথম ২০১১ সালে ২৫১টি প্রতিমা নিয়ে প্রথম দুর্গাপূজার জমকালো আয়োজন শুরু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর বড় মহাধুমধামে পূজা হয়ে আসছে ব্যবসায়ি লিটন শিকদার এর এই বাড়িতে। 

২০১৯ সালেও ৮০১টি প্রতিমা নিয়ে এই বাড়িতে পূজা উদযাপিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য পরবর্তী তিন বছর দুর্গোৎসবে বড় কোনো আয়োজন করা হয়নি এ মন্ডপে। 

এবছর আবারো এমন আয়োজনে খুশি স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও পলী যুগের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরী ও সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর্য শিল্পীরা।

এবছর দূর্গামন্ডপে সনাতন ধর্মের পৌরাণের চার যুগের বিভিন্ন কাহিনী অবলম্বনে ৫০১ টি প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। পুজার সময় দর্শনাথীরা যাতে সহজে প্রতিমা গুলোকে দর্শন করতে পারে সে লক্ষ্যে সারিবদ্ধ ভাবে কয়েকটি লাইনে প্রতিমা গুলো রাখা হয়েছে। প্রতি বছর অসংখ্য দেব-দেবীর প্রতিমার ভিতর একটি প্রধান আকর্ষণ রাখা হয়। এ বছর মন্ডপের প্রধান আকর্ষণ কুম্ভকর্ণের ৬৫ ফুটের ঘুমন্ত প্রতিমা, যার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ প্রতিমার কাঠামো তৈরি ও ভাস্কর্য সম্পন্ন হয়েছে। এখন রং তুলির কাজ চলমান রয়েছে। পনেরো জন ভাস্কর-শিল্পী প্রতিমা তৈরি ও সাজ-সজ্জার কাজে নিয়েজিত রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন হবে।

অসংখ্য দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করে পূজার আয়োজন করা হয় বলে সিকদার বাড়ির দুর্গা মন্ডপকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপ বলা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য মানুষ এ মন্ডপে আসেন। মহামরীর কারণে ২০১৯ এর পর থেকে তিন বছর শিকদার বাড়ির পূজা মন্ডপে সীমিত আকারে পূজা উদযাপিত হয়েছে। এ বছর পূর্বের ন্যায় আড়ম্বর ও বিশেষ আকর্ষণসহ ৫০১ টি প্রতিমা নিয়ে উৎসব উদযাপনের আয়োজন করেছে আয়োজক লিটন শিকদার। সকলের প্রত্যাশা সিকদার বাড়ি দুর্গা মন্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালিত হবে।

এ বছর বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় ৬৫২ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উৎসবের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।

img

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত :  ১৫:৪০, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৬ হিজরি, ২০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।