সন্তান বুকে নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পরীমনির ক্ষোভ প্রকাশ
‘ডোডোর গল্প’ ছবির শুটিংয়ের সময় কিছুটা অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কিন্তু সেসবে পাত্তা না দিয়ে শুটিং চালিয়ে যান। একটা সময় এতটাই কাবু হন, শুটিং থেকে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হালের আলোচিত এই নায়িকাকে। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে এই চিত্রনায়িকাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরীমনিও কয়েক দিন ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখন কিছুটা সুস্থতার দিকে বলে জানালেন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরীমনির বেশ কিছু বিষয়ে উপলব্ধি হয়েছে। আর সেই উপলব্ধি তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ করেছেন।
অনেকের মতে, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পরীমনি খামখেয়ালি জীবনযাপনে বেশি অভ্যস্ত। শুধু সিনেমার কাজে মনোযোগী হলে তিনি নিজেকে আরও ভালো অবস্থানে রাখতে পারতেন।
এমনটা অবশ্য পরীমনি নিজেও এখন মনে করেন। কিছুদিন ধরে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরীমনি এ-ও মনে করছেন, সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নেই। সত্যিই নেই!
দিন পাঁচেক আগে পরীমনি হাসপাতালে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে যান। চিকিৎসক তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জানান, এখনই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এই নায়িকা আজ মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত হলেও মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অসুখ বা বিপদ না এলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না।
পরীমনি তাঁর ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হতো কারোর কাছে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নাই বা সেটা রাখার দরকারও নাই। এক্সপেক্টেশন যত কম জীবন তত সুন্দর। বিশ্বাস করেন, এই কথাটা একটা বেহুদা কথা। আপনার আত্মীয়স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই আপনার খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছ, জিজ্ঞেস করুক, এতটুকুই অনেক কিছু মিন করে কখনো কখনো জীবনে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি মোটেও স্বার্থপর ধরনের মানুষ না। তবে গত দুই-এক বছর যাবৎ আমি “যে যেমন আমি তেমন” লোক হওয়ার চেষ্টা করতেছি। এই চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হলো বলা যায়। জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায়, জীবন কেবল তখনই সুন্দর।’
কাদের স্বার্থপর বললেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমনি বললেন, ‘তাদের নামটা এখনই বলতে চাইছি না। তবে আমার চেনার দরকার ছিল, চিনেছি। এই চেনাটা আমার আগামী জীবনে কাজে দেবে। আমি সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই। আমার প্রতি যাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা রয়েছে, সুন্দর সব কাজ দিয়ে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। ওদের জন্যই আমি মন দিয়ে কাজ করে যেতে চাই। ফাও কোনো মানুষ আর আমার কাছে কোনো জায়গা পাবে না। কোনোভাবেই না।’
এসব কথা বলার ফাঁকে এ-ও বললেন, তিনি তাঁর স্টাফদের যত্ন, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার কাছে ঋণী। ওদেরই তাঁর পরিবার বলে মনে করছেন।
হাসপাতালের বিছানায় মা-ছেলের দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন পরীমনি। পোস্টের একেবারে শেষের দিকে পরীমনি লিখেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকটা ভালোই কাজ করছে মনে হচ্ছে! যাহোক, মা ছেলের এই ছবি দুইটা কেমন একটা শান্তি শান্তি দেয় না চোখে?