যেভাবে নেবেন রমজানের প্রস্তুতি

প্রকাশিত :  ১২:২৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

যেভাবে নেবেন রমজানের প্রস্তুতি

মজান উদযাপনের জন্য দুই মাস আগ থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়। রজব ও শাবানÑ এই দুই মাস রমজানের প্রস্তুতির মাস। রমজান যতই ঘনিয়ে আসত, রমজান নিয়ে রাসুল (সা.) এর আলোচনা ও আমলের মাত্রা ততই বেড়ে যেত এবং তিনি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিতেন। শবেবরাত অর্থাৎ মধ্য শাবান থেকে সাহাবায়ে কেরামের কাজকর্ম ও আমলে রমজানের আগমনবার্তা পাওয়া যেত।

দোয়ার মাধ্যমে প্রস্তুতি : মহানবী (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান প্রাপ্তির জন্য দোয়া করতে থাকতেন। তিনি বলতেনÑ ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (শুআবুল ঈমান : ৩৮১৫)।
শাবান মাসের হিসাবে খুব সতর্কতা 
অবলম্বন : শাবান মাস রমজানের বার্তা নিয়ে আগমন করে। কাজেই এ মাস রমজানের সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মাস হিসেবে কাজে লাগানোর সময়। রমজানের শুরু কখন থেকে হচ্ছে, তা বোঝার জন্য শাবান মাসের হিসাব রাখার কোনো বিকল্প নেই। রাসুল (সা.) নিজেও এ মাসে খুব সতর্কতার সঙ্গে চাঁদের হিসাব রাখতেন। এই মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসের এভাবে হিসাব রাখতেন না। অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এছাড়া অন্য কোনো মাস এত হিসাব করতেন না। অতঃপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। যদি মেঘলার কারণে চাঁদ গোপন থাকত তবে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। (সুনানু আবি দাউদ : ২৩২৭)।
শাবান মাসে রোজার অভ্যাস করে রমজানের প্রস্তুতি : রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে মহানবী (সা.) শাবান মাসে খুব বেশি পরিমাণে রোজা রাখতেন। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম বোখারি (রহ.) তার অমূল্য হাদিস গ্রন্থ সহি বোখারিতে ‘শাবান মাসের রোজা’ শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি নবী (সা.) এর শাবান মাসের রোজা সম্পর্কে আয়েশা (রা.) এর বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) লাগাতার রোজা রাখতেন। আমরা বলতাম, তিনি আর রোজা ছাড়বেন না। আবার তিনি এভাবে রোজা ছাড়তেন। আমরা বলতাম, তিনি আর রোজা রাখবেন না। আমি রাসুল (সা.) কে রমজান ছাড়া কোনো পুরো মাসের রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোনো মাসে বেশি (নফল) রোজা পালন করতে দেখিনি। (বোখারি : ১৮৬৮; মুসলিম : ২৭৭৭)। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) (প্রায়) পুরো শাবান মাসই (নফল) রোজা পালন করতেন। (বোখারি : ১৮৬৯; মুসলিম : ২৭৭৯)। 
রমজানের দু-একদিন আগে রোজা না 
রাখা : রমজানের প্রস্তুতির মধ্যে এটিও একটি বিষয় যে, রমজানের মর্যাদা রক্ষায় তার দুই-একদিন আগে রোজা না রাখা। রাসুল (সা.) রমজানের দুই-একদিন আগ থেকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। তবে যদি কেউ আগে থেকে রোজা রাখতে অভ্যস্ত হয় তার ব্যাপার আলাদা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে অবশ্যই রোজা না রাখে। তবে হ্যাঁ, কারও (আগে থেকেই) এদিনে রোজা রাখার নিয়মে চলে এসে থাকলে সে ওই দিনও রোজা রাখতে পারে।’ (বোখারি : ১৮১৫; মুসলিম : ২৫৭০)।
এমনকি ‘ইয়াওমুশ শক’ তথা সন্দেহের দিনও রোজা রাখা যাবে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার দরুন শাবান মাসের ২৯ তারিখ রাতে চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিনকে ইয়াওমুশ শক বা সন্দেহের দিন বলা হয়। কারণ সেদিন শাবান মাসের ৩০ তারিখ বা রমজানের ১ তারিখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাদিসের বর্ণনা মতে, আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিন রোজা রাখল, সে আবুল কাসেম (রাসুল সা.) এর নাফরমানি করল। (তিরমিজি : ৬৮৬; আবু দাউদ : ২৩৩৬)। 
রমজানের ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা : বরকতময় মাস রমজান একজন মোমিনের চাওয়া-পাওয়ার একমাত্র উপযুক্ত সময়। জীবন পরিবর্তনের এক বাস্তব বিরল সুযোগ হিসেবেই এ মাস আগমন করে। সুতরাং রমজানকে গতানুগতিক ধারায় কাটিয়ে দেওয়া সুস্থ বিবেকের কাজ নয়। রমজানে মোমিনের চাওয়া-পাওয়ার সংযোগ ঘটাতে হলে প্রয়োজন পূর্বপরিকল্পনা। কাজেই আল্লাহর আনুগত্যে রমজানের রাত-দিনকে কাটানোর জন্য কার্যকরী একটি পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। এ পরিকল্পনায় কয়েকটি জিনিস থাকতে পারে। ১. রমজানে বেশি সময় ইবাদতে কাটানোর জন্য কিছু কাজকর্ম, অনুষ্ঠান, ভ্রমণ ও প্রোগ্রাম রমজান-পূর্ব সময়ে সেরে নেওয়া। ২. বিশেষ কোনো রোগব্যাধি থাকলে রমজানের আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রমজানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করা। ৩. হাটবাজারে সময় নষ্ট না করার জন্য যথাসম্ভব হাটবাজার রমজানের আগেই সেরে নেওয়ার চেষ্টা করা। ৪. রমজানে পালনীয় ইবাদত-বন্দেগিসংক্রান্ত বিধিবিধান রমজানের আগেই জেনে নেওয়া। যেন এগুলো আল্লাহর দরবারে সহি ও গ্রহণযোগ্য হয়। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা না জান তাহলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো।’ (সূরা আম্বিয়া : ৭)। এছাড়াও নিজস্ব অবস্থান হিসাব করে রমজান উদযাপনের জন্য ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। 
রমজানের পারিবারিক প্রস্তুতি : রমজান আসার আগেই তার পরিপূর্ণ বরকত ও পুণ্য অর্জনে পরিবারকে মনোযোগী এবং আগ্রহী করতে পারিবারিক তালিম করা যেতে পারে। পরিবারের কোনো সদস্য কোরআন তেলাওয়াত করতে না পারলে তাকে শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবারের সবাই যেন রমজানে বেশি পরিমাণ তেলাওয়াত করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। রমজানের কাজকর্মের ভিড়ে পরিবারের নারী সদস্যরা যেন আমল করতে অপারগ না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে প্রত্যেক সদস্যকে বিভিন্ন কাজ ভাগ করে নিতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা করতে হবে। রমজানকে পরিপূর্ণ গুরুত্ব দিতে অনৈসলামিক টিভি প্রোগ্রামমুক্ত পরিবার গঠন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।’ (সূরা আত-তাহরিম : ৬)।  
রমজানের সামাজিক প্রস্তুতি : রাসুল (সা.) রমজান-পূর্ব সময়ে সমাজের লোকদের রমজান আগমনের বার্তা দিতেন। রমজানের সুসংবাদ জানাতেন এবং পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবাইকে রোজা রাখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এ মাস আসার আগেই সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। সবারই খেয়াল রাখা উচিত, নিজের দ্বারা যেন কোনো রোজাদারের ক্ষতি না হয়। পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে রমজানে গানবাজনা, সিনেমা, হোটেল ইত্যাদি বন্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি অশ্লীল কথাবার্তা ও কাজকর্ম থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। দীর্ঘ এগারো মাসের পাপাচারের কারণে অন্তরে যে কালিমা লেপন হয়েছে, তা দূর করতে হবে এবং কুপ্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরতে হবে। রমজানের মর্যাদাগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে হবে। রমজানের প্রস্তুতিমূলক সভা-সমাবেশ ও সেমিনারসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় রমজানের আলোচনা বৃদ্ধি করতে হবে, যেন সামাজিকভাবে সবাই রমজানের জন্য প্রস্তুত ও আগ্রহী হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মোমিনদের উপকারে আসবে।’ (সূরা যারিয়াত : ৫৫)। 
রমজানের অর্থনৈতিক প্রস্তুতি : রমজান-পূর্ব সময়ে অর্থনৈতিকভাবেও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। রমজানের বাজার যেহেতু আমাদের দেশে একটু ভিন্ন রূপ ধারণ করে, তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে। দানের হাত আরও বাড়াতে হবে। রাসুল (সা.) রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণ দান করতেন। (বোখারি : ৬; মুসলিম : ৬১৪৯)। 
জাকাত ফরজ হলে হিসাবটা আগেই করে নিতে হবে। রমজান এলেই অধিকাংশ ব্যবসায়ী খুশিতে আত্মহারা হন। এ সুযোগে মুনাফা করে নেন বছরের দ্বিগুণ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি ফায়দা লোটার চেষ্টা করেন। এ কারণে ভালো সব পণ্য থাকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এটি শুধু চরম অন্যায়ই নয়; অমানবিকতাও বটে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া উচিত। দাম বাড়ানোর কারণে যেন কোনো রোজাদার কষ্ট না পান এবং নিজেরাও যেন হালাল উপার্জনে রোজা পালন করেন।

লেখক : মাওলানা সালেহ আহমদ, প্রাবন্ধিক-কলামিস্ট

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত :  ০৬:৪৮, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫১, ২৮ মার্চ ২০২৪

আজ ১৭ রমজান। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে ১৭ রমজান মদিনার মুসলিম ও কুরাইশদের একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ২য় হিজরির এই দিনে মহানবী (সা.)’র নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামের ৩১৩ জনের একটি মুজাহিদ বাহিনী বদর প্রান্তরে উপস্থিত হন। ইসলামের ইতিহাসে যাকে জঙ্গে বদর বা বদর যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়েছে।  মুসলমানদের সমৃদ্ধি ও শক্তিবৃদ্ধিতে ঈর্ষা ও শত্রুতা থেকেই পৌত্তলিক মক্কাবাসী রাসুলুল্লাহ (স.) ও তাঁর অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়, ইসলামের ইতিহাসে তা ’গাজওয়ায়ে বদর’ বা বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে আবু জেহেলের এক হাজার সুসজ্জিত বাহিনীর বিপরীতে মুসলমানদের সেনা সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩। 

যেসব পরোক্ষ কারণে বদরযুদ্ধের সূচনা হয়, তা হলো- হিজরতের পর মদিনায় ইসলামের দৃঢ় প্রতিষ্ঠা ও প্রসারে কুরাইশদের হিংসা, আবদুল্লাহ বিন ওবাই ও ইহুদিদের যড়যন্ত্র, ইসলামের ক্রমবর্ধমান শক্তির ধ্বংস এবং নবীজি (স.)-কে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার হীন চক্রান্ত, কাফেরদের সন্ধি-শর্ত ভঙ্গ, বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা, কাফেরদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা। প্রত্যক্ষ কারণ ছিল- নাখালার ঘটনা, কাফেরদের রণপ্রস্তুতি, আবু সুফিয়ানদের অপপ্রচার, যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য ওহি লাভ ও মক্কাবাসীদের ক্ষোভ।

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নগণ্যসংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহ তাআলার গায়েবি সাহায্যে আবু জেহেলের বিশাল বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিলেন। এই যুদ্ধকে কোরআন কারিমে ‘সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ৮০ মাইল দূরে এই সশস্ত্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ‘আশহুরে হুরুম’ বা নিষিদ্ধ চার মাসের অন্যতম হচ্ছে পবিত্র রমজান। এই রমজানেই মদিনা আক্রমণ করে বসে কাফেররা। তার বিপরীতে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করেছিলেন মুসলিমরা।

আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাসী মুসলমানদের অস্ত্র ছিল মাত্র তিনটি ঘোড়া, ৭০টি উট, ছয়টি বর্ম ও আটটি তলোয়ার। রসদ কম মনে হলেও বিজয় লাভে তাদের প্রধান উপকরণ ছিল ঈমানি শক্তি। মুসলমানদের বিশ্ব জয়ের সূচনা এবং সর্বোত্তম ইতিহাস রচনার ভিত্তি এই বদর যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ৭০ জন মুশরিক নিহত ও ৭০ জন বন্দি হয়। অন্যদিকে মাত্র ১৪ জন মুসলিম বীর সেনানী শাহাদতের অমীয় সুধা পান করেন।

বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম জাতীর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করবে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখাকে কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করবে। 

ইসলামকে সমুন্নত রাখার জন্য কাফের-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে। ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য সূচিত করবে। বদর যুদ্ধ মুসলমানকে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে শেখায়। আল্লাহর ওপর দৃঢ় ঈমান ও নির্ভর হওয়া শেখায়। যুদ্ধে অবিচল থাকা ও সবর করা শেখায়।

বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা ইসলামবিদ্বেষীদের জুলুমের শিকার হচ্ছেন এবং ইসলামের শত্রুরা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর মুসলমানরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নীরবে বসে আছেন। তা মোটেও ইসলামের শিক্ষা নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বদরের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।