img

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাদের পলেস্তারা খসে ৩ পরীক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৬, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাদের পলেস্তারা খসে ৩ পরীক্ষার্থী আহত

পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পরীক্ষা চলাকালে পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩১৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, কবি নজরুল কলেজের বাংলা বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত ইমন, সোনিয়া এবং অর্থনীতি বিভাগের আনাস। তারা সবাই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুন নূর নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। চার ঘণ্টার এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে ফ্যানের সঙ্গে লেগে ছিটকে গিয়ে দুজনের গায়ে লাগে। ইমন নামে আরেকজনের মাথায় লাগে। তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। আমরা ইমনকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে গেলে তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ডাক্তার তাকে সিটিস্ক্যান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

ন্যাশনাল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুল হাসান জানান, ‘প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। এরপরে সমস্যা হলে সিটিস্ক্যান করাতে হবে। এ ছাড়াও প্রতি তিন দিন পরপর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হবে।’

আহত শিক্ষার্থী ইমন জানান, ‘আমি লিখছিলাম। হঠাৎ করেই গুলির মতো ইটের একটি টুকরা আমার মাথা লাগে। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না। আমার মাথা ফেটে গেছে, সেলাই পড়েছে।’

সামনের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এখন চিকিৎসার এত টাকা কোথায় পাবো? আর আমার সামনে আরও যে পরীক্ষা আছে, এগুলোইবা দেবো কীভাবে? আমার মাথায় কিছুই আসছে না।’সামনের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এখন চিকিৎসার এত টাকা কোথায় পাবো? আর আমার সামনে আরও যে পরীক্ষা আছে, এগুলোইবা দেবো কীভাবে? আমার মাথায় কিছুই আসছে না।’

এ ব্যাপারে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবির বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি কলেজেই ছিলাম। যে ছেলেটির মাথা ফেটেছে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।’

শিক্ষা এর আরও খবর

img

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে । এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা), দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে কেউ অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়/ক্যাম্পাসে বা অননুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হলে এর দায় ইউজিসি নেবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ইউজিসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠনে জটিলতা ও মামলা থাকায় রাজধানীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।

আর মামলা, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা, ইউজিসির আরোপিত শর্ত পূরণ না হওয়াসহ নানা কারণে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কুইন্স ইউনিভার্সিটির নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ইউজিসির তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৫টি। এর মধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।