সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাদের পলেস্তারা খসে ৩ পরীক্ষার্থী আহত
পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পরীক্ষা চলাকালে পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩১৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, কবি নজরুল কলেজের বাংলা বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত ইমন, সোনিয়া এবং অর্থনীতি বিভাগের আনাস। তারা সবাই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুন নূর নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। চার ঘণ্টার এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে ফ্যানের সঙ্গে লেগে ছিটকে গিয়ে দুজনের গায়ে লাগে। ইমন নামে আরেকজনের মাথায় লাগে। তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। আমরা ইমনকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে গেলে তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ডাক্তার তাকে সিটিস্ক্যান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ন্যাশনাল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুল হাসান জানান, ‘প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। এরপরে সমস্যা হলে সিটিস্ক্যান করাতে হবে। এ ছাড়াও প্রতি তিন দিন পরপর ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হবে।’
আহত শিক্ষার্থী ইমন জানান, ‘আমি লিখছিলাম। হঠাৎ করেই গুলির মতো ইটের একটি টুকরা আমার মাথা লাগে। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না। আমার মাথা ফেটে গেছে, সেলাই পড়েছে।’
সামনের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এখন চিকিৎসার এত টাকা কোথায় পাবো? আর আমার সামনে আরও যে পরীক্ষা আছে, এগুলোইবা দেবো কীভাবে? আমার মাথায় কিছুই আসছে না।’সামনের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এখন চিকিৎসার এত টাকা কোথায় পাবো? আর আমার সামনে আরও যে পরীক্ষা আছে, এগুলোইবা দেবো কীভাবে? আমার মাথায় কিছুই আসছে না।’
এ ব্যাপারে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবির বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি কলেজেই ছিলাম। যে ছেলেটির মাথা ফেটেছে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।’