যুদ্ধবিরতির আহ্বান না জানিয়ে বিশ্বনেতারা অপরাধে সহযোগী হচ্ছেন: জোলি
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার তীব্র সমালোচনা করে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর যাদের কোথায় যাওয়ার উপায় নেই সেখানে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল।
জোলি আরো বলেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর যাদের কোথায় যাওয়ার উপায় নেই সেখানে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সাবেক শুভেচ্ছা দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি গতকাল বুধবার সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বলেন, \'প্রায় দুই দশক ধরে গাজা একটি উন্মুক্ত কারাগার। এই অঞ্চলটি দ্রুত গণকবরে পরিণত হচ্ছে। নিহতদের ৪০ শতাংশই নিষ্পাপ শিশু। একেকটা পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হচ্ছে।\'
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গাজায় ৮ হাজার ৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৪৮ জনই শিশু।
জোলি আরও বলেন, \'সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষত শিশু, নারী ও পরিবারের সব সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে এবং তাদেরকে খাবার, ওষুধ ও মানবিক ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এমন কী, অনেক দেশের সরকার এই সংঘাতে (ইসরায়েলকে) সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে।\'
\'মানবিক অস্ত্রবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি আরোপের উদ্যোগ নস্যাৎ করে (ভেটোর মাধ্যমে) বিশ্ব নেতারা এসব অপরাধে (ইসরায়েলের) সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন\', যোগ করেন জোলি।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (৪৮) একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও পরিচালক যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি মানবিক কাজে অংশ নেওয়ার জন্য সুপরিচিত। তিনি \'গার্ল, ইন্টারাপটেড\' সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯৯ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জেতেন। এছাড়াও তিনি তিন বার গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জেতেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ২০০১ সালে নিয়োগ পান জোলি। এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সফর করেন।