মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে হত্যা, বটি বুকে শুয়ে ছিল সুমন
মাদকের টাকা না পেয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মা মধুমালা বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই ছেলে সুমন মিয়া (৩৫)। পুলিশ সুমনকে ধারালো বটিসহ গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ রেলষ্টেশন উকিলবাড়ি এলাকায় সড়কে এঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের পাশের বাড়ীর যুবক মিলন জানায়, রাত সাড়ে বারোটায় চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পাই রাস্তায় পরে রয়েছে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা। পাশেই দাড়িয়ে আছে এক যুবক ও এক পুরুষ। সামনে গিয়ে তাদেরকে তিনি চিনতে পারে এবং তখন দেখেন রাস্তায় পরে থাকা মহিলাটি হলো মধুমালা বেগম আর দা হাতে দাড়িয়ে আছে তারই ছেলে আর পাশে দাড়ানো পুরুষটি হচ্ছে মধুমালার স্বামী।
মিলন জানায়, ছেলেটি মাদকাসক্ত ছিলো। হয়তো মাদকে টাকা চেয়ে না পেয়ে মায়ের সাথে ঘরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বটি নিয়ে ধাওয়া করে মাকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, পরিবার নিয়ে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলষ্টেশন উকিল বাড়ি মোড় এলাকায় কামরুন নাহারের বাড়িতে ভাড়া থাকে। বাড়ির কাছে তার ভাতের হোটেল আছে। তারা স্বামী-স্ত্রী ওই হোটেল চালায়। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সুমন দ্বিতীয় সন্তান। মানষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সুমনকে তার স্ত্রী তালাক দিয়ে দুই কন্যা সন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর ৬বছর আগে সুমনকে বিদেশে (ইরাক) পাঠানো হয়। সেখানে দুই মাস থেকে দেশে চলে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে হোটেল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখতে পায় সুমন ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে রাস্তায় তার মাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপর সুমন বটি হাতে নিয়ে ঘরে গিয়ে খাটে শুয়ে ছিলো। খবর পেয়ে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে সুমনকে ঘর থেকে বটিসহ গ্রেফতার করে এবং তার মায়ের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম বলেন, মাকে খুনের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে ভারসাম্যহীন বলা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।