img

গলায় ফাঁস দিলেও কেন হিমুকে বাধা দেননি রাফি?

প্রকাশিত :  ০৮:৫৫, ০৪ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০২, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

গলায় ফাঁস দিলেও কেন হিমুকে বাধা দেননি রাফি?

অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে হিমুর মৃত্যুর মূল কারণ।  

জিয়াউদ্দিন জিয়া দাবি করেছেন, ঘটনার দিন বিকালে হিমুর উত্তরার বাসায় যান তিনি। পরে অনলাইন জুয়ার বিষয় নিয়ে হিমু ও তার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় হিমু বাসায় ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে রুমের বাইরে থেকে একটি মই এনে সিলিংফ্যান লাগানোর লোহার সঙ্গে পূর্ব থেকে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

জিয়ার দাবি, হিমু-এর আগেও ৩-৪ বার আত্মহত্যা করবেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আর আত্মহত্যা করেননি। এবারও বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। তবে সত্যি সত্যিই হিমু গলায় ফাঁস দিলে তিনি হিমুকে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় তিনি পাশের রুমে থাকা হিমুর মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরকে ডেকে আনেন। পরে মিহির রান্নাঘর থেকে একটি বঁটি এনে রশি কেটে তাকে নিচে নামান। এর পর বাসার দারোয়ান ও মিহিরের সহায়তায় তিনি হিমুকে বাসা থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হিমুকে মৃত ঘোষণার পর অবস্থা বেগতিক দেখে রাফি নিহতের গাড়ি এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত বংশাল এলাকায় পালিয়ে যান। র‌্যাব-১ তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

জিয়াউদ্দিন একজন টেক্সটাইল কেমিক্যাল ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকার সুত্রাপুর এলাকার মোহাম্মদ ইকবালের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে হোমায়রা হিমুর খালাতো বোনকে জিয়া বিয়ে করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে পারিবারিক সমস্যাজনিত কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পারিবারিক আত্মীয়ের সম্পর্কের সুবাদে তার সঙ্গে হিমুর পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জিয়া অন্যত্র বিয়ে করলেও হিমুর সঙ্গে তিনি বিভিন্নভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। চার মাস আগে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা হতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।


img

ঘুমের মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু নবাগত নায়িকা মেঘলার

প্রকাশিত :  ০৯:৩৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নতুন অভিনেত্রী সাদিকা রহমান মেঘলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়িতে মারা যান এ অভিনয়শিল্পী। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে আরাবি রহমান নামে আত্মপ্রকাশ চুক্তিবদ্ধ হয়ে করবেন এমনটিই জানিয়েছিলেন তিনি। নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন মেঘলা।

তবে স্বপ্নপূরণ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

মেঘলার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন মেঘলার ছোট বোন রুকসানা। রুখসানা জানান, দুই দিন আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় বেড়াতে যান মেঘলা।

রুখসানা বলেন, ‘রাতে ঘুমানোর আগে আপু বলতেছিল পায়ের মধ্যে কেমন যেন করছে। তখন পায়ে তেল মালিশ করে দেই। হঠাৎ রাতে ঘুম ভাঙলে ওর গায়ে হাত পড়তেই শরীর ঠাণ্ডা লাগে। তখন সবাইকে ডাকি। তারপর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পারি।

ঢাকার শ্যামলীতে বসবাস করতেন মেঘলা। তবে শোবিজে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছিলেন আরাবি রহমান নামে। কিশোরগঞ্জ জন্ম হলেও নেত্রকোনা বেড়ে ওঠা তার। নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমায় যুক্তও হয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল কোথায়; তার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।