img

শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী সংঘর্ষে বন্ধ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি

প্রকাশিত :  ০৫:৩২, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী সংঘর্ষে বন্ধ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি

এলাকাবাসীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বন্ধ ঘোষণা করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। রবিবার (০৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে অনলানে ক্লাস হওয়ার কথা জানানো হলেও এবার একাডেমিক কার্যক্রম এগার দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার ঘোষণা পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৭ দিন (১২ নভেম্বর পর্যন্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে এতে আরও বলা হয়, সকল শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়িতে বা নিরাপদ স্থানে থেকে নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করে পড়াশোনা ও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

এর আগে, এদিন সন্ধ্যার পর সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সন্ধ্যার পর এলাকাবাসীর সঙ্গে ফের আরেক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে খাগান এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজু হাসপাতাল পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যায়।

এরপর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর মারা যায় অন্তর। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মামলার আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

অন্তরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম. লুৎফর রহমান রবিবার সন্ধ্যায় দাবি করেছেন, ‘স্থানীয়দের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু ঝামেলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

শিক্ষা এর আরও খবর

img

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে । এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা), দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে কেউ অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়/ক্যাম্পাসে বা অননুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা হলে এর দায় ইউজিসি নেবে না বলেও উল্লেখ করা হয়।

ইউজিসির বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো—ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ইউজিসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠনে জটিলতা ও মামলা থাকায় রাজধানীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।

আর মামলা, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা, ইউজিসির আরোপিত শর্ত পূরণ না হওয়াসহ নানা কারণে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কুইন্স ইউনিভার্সিটির নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ইউজিসির তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১৫টি। এর মধ্যে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আর রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।