img

ভূমধ্যসাগর থেকে ৩০ বাংলাদেশি উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৬:২৯, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

ভূমধ্যসাগর থেকে ৩০ বাংলাদেশি উদ্ধার

ফরাসি দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) উদ্ধারকারী জাহাজ জিও ব্যারেন্টস ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূল থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্কসহ ৩০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে । গত ৩ নভেম্বর এসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইউরোপে অভিবাসন সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে লিবিয়া উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় উদ্ধার অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। ওই সময় একটি মোটরচালিত নৌকায় ঝুঁকিতে থাকা ৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে জিও ব্যারেন্টস জাহাজে তোলা হয়।

সংবাদমাধ্যমকে রুবেল গাজী নামে এক অভিবাসন প্রত্যাশী বলেন, আমি ১ মাস ৩ দিন আগে বাংলাদেশ ছেড়ে আসি। বাংলাদেশ থেকে প্লেনে বাহরাইন ও ইস্তাম্বুল হয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পৌঁছেছিলাম। একটি কোম্পানিতে কাজের ভিসায় লিবিয়ায় এসেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রযাত্রার আগে দালালের গেইম ঘরে তিন-চারদিন অনেক কষ্টে ছিলাম। খাবার, পানি ও গোসল নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। রুবেল জানান, আমরা লিবিয়া উপকূল থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রা করি। পরে রাত ৯টার দিকে আমাদের উদ্ধার করে এমএসএফ। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই দালালরা দ্রুত আমাদের নৌকায় তুলেছিল। যাত্রার আগে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আমাদের ইতালির বারি উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত অভিবাসীদের মধ্যে মিশর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকেরা শীর্ষে রয়েছেন।

img

ভারতকে একচুলও ছাড় নয়: হাসনাত

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ভারতকে একচুলও ছাড় দিতে নারাজ। 

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, ভারত আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশেকে দেখে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। সেই ঐক্যে ধরে রাখতে হবে। ভারতের অপপ্রচার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে।

ভারত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, এই বিষবাষ্পের বিপরীতে আমাদের প্রচার করতে হবে, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ বিশ্বদরবারে সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে। জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে।

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ভারত এতদিন বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে দেখেছে, এতে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক হয়নি, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক হয়নি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, যত অসম চুক্তি হয়েছে সেই সঙ্গে ভারতের সাথে সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ফেলানীসহ সব সীমান্তে সব হত্যার তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন। এ লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে, পরদিন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন বলে আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ এর আরও খবর