img

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নক্ষত্রের স্মরণে ইউকে বিডি টিভির ভার্চুয়াল শোক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১৪:৩৯, ০৯ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪০, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নক্ষত্রের স্মরণে ইউকে বিডি টিভির ভার্চুয়াল শোক সভা অনুষ্ঠিত

বদরুল মনসুর, কার্ডিফ (ওয়েলস) থেকেঃ শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নক্ষত্রের স্মরণে শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা শীরনামে ইউকে বিডি টিভির উদ্যোগে গত ৫ ই  নভেম্বর রোববার এক ভার্চুয়াল শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট সাংবাদিক খায়রুল আলম লিংকন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, নিউইয়র্ক ষ্টেইট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আজমল শাহীন, নিউপোর্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তাহির উল্লাহ, ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মীরা গোলাম মোস্তফা, নিউপোর্ট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ শাফি কাদির, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর ও মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন মজিদ থেকে  তেলাওয়াত করেন হাফিজ মিফতাউর রহমান ও পরে পরম করুণাময় মহাণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহীদানদের  রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন কার্ডিফ জালালিয়া মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির।

আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, “১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বর প্রতিবছর আমাদের শোকাবহ স্মৃতিকে আরো শোকার্ত করে তোলে। বাংলার আকাশ—বাতাস, মাটি ও স্বাধীনতাকামী মানুষ এ বিষাদ স্মৃতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে “জেল হত্যা’ সেইরকমই একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পর চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে যে কলংকময় অধ্যায় এর সূচণা করছিলো সেই ঘাতকচক্র বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতির ইতিহাসে দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়ের জন্ম দেয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য,কলঙ্কিত,হৃদয়বিদারক নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।”

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তাঁর অবর্তমানে ও নিদর্শিত পথে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী অন্যতম পরিচালক হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় চার নেতাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দল—মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অপূর্ব দক্ষতার সাথে স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকার পরিচালনা ও পরম নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ দান ও দু ‘লক্ষ মা—বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা পেয়েছিলাম বিজয়ের লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক চৌধুরী হেলাল বলেন, “জাতির স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন৷ জাতির চার উজ্জ্বল নক্ষত্র যারা বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

নিউইয়র্ক ষ্টেইট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আজমল শাহীন বলেন, “আজকের দিনে রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হলে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পথে আমরা আমাদের যে চেতনাকে লালন করি, সেজন্য চিরতরে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা ও  কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, “পনেরই অগাস্ট একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য এবং তেসরা নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে যে হত্যাকাণ্ড, সেটা আসলে ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা, একই সূত্রে গাঁথা। তেশরা নভেম্বর আমাদের জাতীয় চার নেতা, তাদের নিষ্ঠুরভাবে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। এই হত্যার রাজনীতির ধারায় ২০০৪ সালের একুশে অগাস্ট হত্যাকাণ্ড।”


কমিউনিটি এর আরও খবর

সকল মহলের সহযোগিতা কামনা

img

বাংলাদেশ সেন্টারের গ্রীন প্যানেল গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন : সেন্টার রক্ষা ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ চালুর স্বার্থে বিনা শর্তে যে কোন আপোষ-মীমাংসায় সম্মতি

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লণ্ডনের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সেন্টার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য স্মারক, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম হাই কমিশন ।বাংলাদেশ সেন্টার এক সময় সভার হল ,বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান ,নামাজের জন্য হল ও স্টুডেন্ট হোস্টেল ছিল । জমজমাট ছিল এ সেন্টার ।

জরাজীর্ন সেন্টারের ভবনে সংস্কার কাজ করার ফলে নতুন ভবনের অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে । কিন্তু  এ ঐতিহাসিক সেন্টারটি এখন নেতৃত্বের কোন্দলে সেবা প্রদান থেকে বঞ্চিত রয়েছে । বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি কমিটি রয়েছে ।প্রতিটি গ্রুপই নিজকে বৈধ বলে দাবী করে আসছে ।কিন্তু চ্যারিটি কমিশন নাকি উভয় গ্রুপকে অবৈধ বলেছে ।বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  হয়েছে ।বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে ।

পদাধিকার বলে মাননীয় হাইকমিশনার সভাপতি হয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিরোধ মীমাংসা করতে পারেন নি। কমিউনিটির মুরুব্বীরা সালিশের চেষ্টা করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি।কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে ।গতকাল গ্রীন প্যানেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টারটিকে রক্ষা করার জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য রাখেন এ কে এম শহীদুর রহমান । সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে- এই সংকট নিরসনের জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত সকল উদ্যোগই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টিকারীদের অপকৌশল বন্ধ করতে হবে। সেন্টারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নিরপত্তা বিধান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সেন্টারের ব্যাংক একাউন্ট ও ফান্ড এর অনুনোমোদিত ব্যবহার সম্পর্কে সকল ক্যাটাগরির সদস্যদেরকে অবহিত করাই এই সংবাদ সম্মেলনের  উদ্দেশ্য।

সভায় বক্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে কমিউনিটির  স্বার্থ ও সেবা গ্রহণকারীদের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সবাইকে এক সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বৃটেনে নব-নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারপার্সন মান্যবর আবিদা ইসলাম মহোদয়কে এই সভা থেকে অনুরোধ জানানো হয়। এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সংকট সমাধানে উপায় হিসেবে দুটি প্রস্তাব করা হয়: 

১. সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ৪২ ধারা অনুযায়ী নোটিশ প্রদান এবং ৪৪ ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী কমিটি, উপ-কমিটিসমূহ গঠন। 

২. এজিএম ডেকে নির্বাচিত কমিটির হাতে সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব অর্পণ। 

সভায় সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মহিবুর রহমান মুহিব, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব ইছবাহ উদ্দিন, সহ-সভাপতি, জনাব হাবিবুর রহমান ময়না, চিফ-ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ ফাইজুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক জনাব শামীম আহমেদ ও যুগ্ম-ট্রেজারার জনাব নসিম আহমেদ।

কমিউনিটি এর আরও খবর