img

ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরো ১১, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৩৩

প্রকাশিত :  ১৪:৪২, ১০ নভেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরো ১১, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৩৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৩৩ জন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৩৫ জন। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার ৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ৮ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ২০৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৫৮৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৬১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

 চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ২ হাজার ৮৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৩ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬০৩ জন।

 একই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৯০৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৪৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৬১ জন।

 ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও, ২০২১ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

 স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

img

ভারতকে একচুলও ছাড় নয়: হাসনাত

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ভারতকে একচুলও ছাড় দিতে নারাজ। 

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, ভারত আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে বাংলাদেশেকে দেখে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। সেই ঐক্যে ধরে রাখতে হবে। ভারতের অপপ্রচার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে।

ভারত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, এই বিষবাষ্পের বিপরীতে আমাদের প্রচার করতে হবে, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ বিশ্বদরবারে সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে। জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে।

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতেই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ভারত এতদিন বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের চোখ দিয়ে দেখেছে, এতে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক হয়নি, রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক হয়নি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণের বিমাতাসুলভ সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, যত অসম চুক্তি হয়েছে সেই সঙ্গে ভারতের সাথে সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ফেলানীসহ সব সীমান্তে সব হত্যার তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন। এ লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে, পরদিন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন বলে আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ এর আরও খবর