img

ধুলাবালি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন

প্রকাশিত :  ০৯:৫৬, ১১ নভেম্বর ২০২৩

ধুলাবালি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন

অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতকালে রাস্তাঘাটে ধুলোবালির পরিমাণ তুলনামুলকভাবে বেশি থাকে। কারণ এই সময় আবহাওয়া রুক্ষ, শুষ্ক প্রকৃতির থাকে। রোদও থাকে বেশ চড়া। এই পরিস্থিতিতে চোখকে রক্ষার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। যেমন- 

১. বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হওয়া উচিত। এতে রোদ ও ধুলা-বালি থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকবে। 

২. কোনওভাবে চোখে কিছু পড়ে গেলে চোখ খুব চুলকাতে পারে। এমন হলে হাত দিয়ে বারবার ঘষে চোখে চুলকাতে যাবেন না। এতে সমস্যা বা ইনফেকশন বাড়তে পারে।

৩. যারা নিয়মিত বাড়ির বাইরে বের হন তারা বাড়ি ফিরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন।

৪. চোখে ধুলাবালি পড়লে চোখ থেকে পানি পড়া শুরু হয়। চুলকানি ভাব বোঝা যায়। এই অবস্থায় চোখ কখনই হাত দিয়ে কচলানো উচিত নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। বরং বাড়ি ফিরে চোখে ভালভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। এরপর বরফের টুকরো নরম কাপড়ের মধ্যে বেঁধে ভালভাবে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। এর ফলে ফোলাভাব এবং জ্বলুনি কমে যাবে।

৫. যারা চশমা ব্যবহার করেন তারা চশমা পরিষ্কার করার সুরঞ্জাম সঙ্গে নিয়েই বেরোন । কারণ ধুলোবালিতে চশমার কাচে সহজে ময়লা জমতে পারে।

৬.  অনেকসময়েই ধুলা থেকে চোখে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও বারবার চোখে হাত দেওয়া, চোখ চুলকে নেওয়া, এসব করা যাবে না। এর ফলে চোখে সমস্যা বাড়তে পারে।

৭. চোখ পরিষ্কার করার সময় অনেকেই খুব জোরে চোখে পানি ঝাপটা দেন। এই অভ্যাস চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। চোখে আলতো করে পানি বুলিয়ে নিতে হবে। তার আগে হাত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। আর চোখ মোছার জন্যেও নরম সুতির কাপড় ব্যবহার করা উচিত। 


img

শীতে খুশকি-চুল পড়া, যেভাবে চুল ঝলমলে রাখবেন

প্রকাশিত :  ১২:৫৫, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও খুশকির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমেই শীতের কারণে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার। শীতকালে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে ঠাণ্ডা বাতাসে থাকার ফলে চুল দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে শুরু করে। এজন্য শীতকালীন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যা চুলকে আর্দ্র এবং কোমল রাখে। 

শীতকালে চুলে তেলের ব্যবহারও বৃদ্ধি করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি প্রদান করে, যা চুলের মজবুত করে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া শীতকালে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত, যাতে চুলের প্রাকৃতিক তেল অক্ষুণ্ণ থাকে। খুব গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুলে প্রাকৃতিক তেলের জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন আলোভেরা বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পুষ্টির খেয়াল রাখতে হবে। 

শীতকালে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E, Omega-3 এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, মাছ, ডিম, এবং শাকসবজি রাখা উচিত। এই পুষ্টিগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

চুলের ভেতর ময়লা জমে গেলে বা চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে গেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত চুলে পরিষ্কার রাখা জরুরি। এছাড়া চুলে অতিরিক্ত হিট ব্যবহার যেমন হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার কম ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলি চুলকে আরও শুষ্ক করে ফেলতে পারে। 

চুলের যত্নে পরিধানযোগ্য হেডক্যাপ বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন, যা শীতের ঠাণ্ডা বাতাস থেকে চুলকে রক্ষা করবে।

শীতকালে চুলের যত্নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত চুল কাটানো। চুলের ডগা ফাটলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুল কাটানো উচিত। 

সবশেষে, শীতকালে চুলকে ঝলমলে রাখার জন্য সঠিক যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ধৈর্য রাখা জরুরি। সময়মতো পুষ্টি, তেল, সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমে চুল থাকবে মজবুত, ঝলমলে এবং শীতেও আপনার আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। 

যদি মনে হয় সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হচ্ছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চর্ম ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক (এম.বি.বি.এস) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।