img

তপশিল নিয়ে কাল বিকেলে বৈঠকে বসবে ইসি

প্রকাশিত :  ০৭:৩৮, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

তপশিল নিয়ে কাল বিকেলে বৈঠকে বসবে ইসি

নির্বাচন কমিশন তপশিল নিয়ে বৈঠকে বসবে আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় । এ তথ্য জানা গেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে ।

এর আগে ইসি ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি ইসিতে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ করা হয়েছে।

সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসি ভবনের সামনে চার টিমের পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, যা আগে ছিল না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধের বাকি আছে বুধবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত। ইসি সচিবের বক্তব্য অনুসারে বুধবার (১৫ নভেম্বর) অথবা বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তপশিল ঘোষণার একটা সম্ভাবনা আছে। তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও ইসির নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।

উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

img

৪৩ বিসিএসে ২০৬৪ জনের নিয়োগ, ৯৯ জনের ফল স্থগিত

প্রকাশিত :  ১৩:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:১৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪ জন। নানা কারণে স্থগিত থাকছে ৯৯ জনের ফল। এই বিসিএসে পিএসসি থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।

বেশ আগেই ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।

জানা গেছে, পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশের তালিকা জনপ্রশাসনে পাঠানো হয়। এরপর এই তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নানা ধরনের তথ্য যাচাই করা হয়। সব তথ্য পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেয়া হলো।

নিয়োগের শর্তগুলো হলো- তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে; উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে; তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে, প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে, শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে; প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে; প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন, কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে; ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসাবে প্রায় চার বছর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলো।

৪৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।